শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ০৫:০২ অপরাহ্ন

আগাম মার্কিন ভোটে ‘সুখবর’ পেল হ্যারিস

রিপোর্টারের নাম / ৯৪ টাইম ভিউ
Update : শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪

ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই সবার প্রশ্ন এবারকার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন। মার্কিন ইতিহাসে এবার কি তাহলে প্রথমবারের মতো নারী প্রেসিডেন্ট পাবে নাকি দ্বিতীয় মেয়াদে জয় পেয়ে ক্ষমতায় বসবেন রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগাম ভোটে রেকর্ড হয়েছে। আগাম ভোটের হার দেখে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট— দুই শিবিরই উচ্ছ্বসিত। রিপাবলিকানরা খুশি, কারণ গত নির্বাচনে তারা যত আগাম ভোট পেয়েছিল, এবার তার চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছে। আর ডেমোক্র্যাটরা খুশি, কারণ আগাম ভোটে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে বড় ব্যবধানে এগিয়ে তাদের প্রার্থী কমলা হ্যারিস।-খবর তোলপাড়।

আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হলেও ২৭ অক্টোবর থেকে আমেরিকায় শুরু হয়েছে আগাম ভোটপর্ব। শুক্রবার পর্যন্ত সে দেশের প্রায় ৭ কোটি ভোটদাতা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। আমেরিকায় ভোট দেওয়ার যোগ্য নাগরিকের সংখ্যা ২৩ কোটির বেশি। এবারের নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। সর্বশেষ ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল ৬৬ শতাংশ, যা ছিল গত এক শতকের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেবার আগাম ভোট পড়েছিল প্রায় ১০ কোটি।

এদিকে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগাম ভোটপর্বের মাঝে ‘সুখবর’ পেলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস। সর্বশেষ জনমত জরিপ বলছে, প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন কমলা। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুসারীদের দাবি, আগাম ভোটে এই উৎসাহে সুবিধা পাবেন তারাই। যদিও আগাম ভোট চলাকালীনই কয়েকটি জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্পকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন কমলা।

আগাম ভোট নিয়ে এবিসি নিউজ-ইপসোস, নিউইয়র্ক টাইমস-সিয়েনা কলেজ এবং সিএনএনের জনমত জরিপে দেখা যায়— ট্রাম্পের চেয়ে ১৯ বা তার বেশি পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে কমলা। তবে ইতিহাস বলছে, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ও ট্রাম্পকে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন তার ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিন্টন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পই বাজিমাত করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, আমেরিকার ৫০টি প্রদেশের প্রতিটিতেই নিজস্ব ভোটিং পদ্ধতি রয়েছে। পোস্টের মাধ্যমে ব্যালট সংগ্রহ এবং পোলিং স্টেশনে সশরীরে গিয়ে আগাম নির্বাচনের দিন ভোটদানের ব্যবস্থা রয়েছে বিভিন্ন প্রদেশে। কোনও কোনও প্রদেশে আবার এক সঙ্গে তিনটি পদ্ধতিই প্রচলিত।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বচানের ফলাফল সরাসরি জাতীয় ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় না বরং ইলেক্টোরাল কলেজ তা নির্ধারণ করে। ৫০টি অঙ্গরাজ্যের হিসেবে এই প্রতিযোগিতা হয়, ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ৪৮টি তাদের রাজ্যে বিজয়ীকে সব ইলেক্টোরাল ভোট প্রদান করে। নেব্রাস্কা ও মেইন রাজ্য দু’টি তাদের রাজ্যের ও কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টের ভোট প্রদান করে।

প্রত্যেক রাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোট তাদের মোট জনসংখ্যার ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়। প্রেসিডেন্ট পদে জয় লাভ করতে হলে মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোটের প্রয়োজন পড়ে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর