সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
রাজধানীর পল্টনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এক দফা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১২ জুলাই) নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারসহ বেশ কিছু দাবিতে দলের পক্ষে এই এক দফা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। খবর তোলপাড়।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে তার অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি, মিথ্যা-গায়েবী মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশি সাজা বাতিল এবং সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে রাজপথে সক্রিয় বিরোধী রাজনৈতিক জোট ও দলসমূহ যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলা ও সফল করার ঘোষণা প্রদান করছি।
এক দফা দাবির পক্ষে ১৮ই জুলাই ঢাকাসহ সারা দেশের জেলা ও মহানগরে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা এবং ১৯শে জুলাই শুধু ঢাকায় শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এটি হলো প্রাথমিক কর্মসূচি। পরবর্তীতে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী কর্মসূচি দেয়া হবে।
এদিন প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনগণের প্রতিবাদের সুনামি শুরু হয়েছে। আজকের এই সমাবেশ তার প্রমাণ। অনেক চেষ্টা করেছে এটাকে বানচাল করার। ঠেকিয়ে রাখতে পারে নাই। একটা মাত্র আশা মানুষের, পরিবর্তন চাই। তিনি বলেন, এই সরকার বাংলাদেশ বিরোধী সরকার। গণতন্ত্র বিরোধী সরকার।
পল্টনের সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। হতে দেয়া হবে না।
এ সময় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, এই সরকার আর থাকতে পারে না। তাদের বিদায় নিতে হবে। এটিই আমাদের এক দফা দাবি।
সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভোট চুরির প্রকল্পে যারাই জড়িত হবে তাদের জনতার আদালতের মুখোমুখি হতে হবে। কেউ রেহাই পাবে না। জনগণ জেগেছে। যেতে হবে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে আর হবে না। সংবিধানতো তারা খেয়ে ফেলেছে। সংবিধান আছে? শেখ হাসিনার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না এটা এখন সবাই বিশ্বাস করছে। নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।