গুম কমিশনে ১৬০০ অভিযোগ পড়েছে। ৩৮৩টি গুমের অভিযোগ যাচাই বাছাই করেছে কমিশন। এর মধ্যে র্যাবের বিরুদ্ধে ১৭২, ৩৭টি সিটিসি, ডিবি ৫৫টি, ডিজিএফআই ২৬টি, পুলিশ ২৫টি এবং অন্যান্যভাবে গুমের ঘটনা ৬৮টি। ঘটনা তদন্তে গিয়ে এসব বাহিনীর আটটি গোপন বন্দিশালা (আয়নাঘর) পেয়েছে কমিশন। যেখানে বছরের পর বছর এসব গুম হওয়া ব্যক্তিদের রেখে নির্যাতন করা হতো।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে গুম কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।-খবর তোলপাড়।
মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গত ৩১ অক্টোবর গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে এক হাজার ৬০০’র বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। ইতোমধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮৩টি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।
তিনি বলেন, গুম হওয়া ২০০’র বেশি মানুষকে এখনো খোঁজ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এই কমিশন গঠন করে সরকার। গত ২৭ আগস্ট কমিশন গঠন করা হয়।
পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্টগার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্যের হাতে জোর করে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের জন্য এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফার্মগেট ঢাকা-১২১৫ ।
মোবাইল : ০১৭৭৩৩৭৪৩৬২ । ইমেইল : dailytolpernews@gmail.com
বিজ্ঞাপন: prohaladsaikot@gmail.com