জাকের-নাসুমের ব্যাটিংয়ে লড়াকু পুঁজি বাংলাদেশের

তাওহীদ হৃদয়, নাজমুল হোসেন শান্তর পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ; ১০ রানের মধ্যে টানা ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তাতে ২০০ টপকানো নিয়েই তৈরি হয়েছিল সংশয়। তবে শেষদিকে নাসুম আহমেদ ও অভিষিক্ত জাকের আলী অনিকের ক্যামিও ইনিংসে লড়াইয়ের জন্য দারুণ পুঁজিই পেয়েছে বাংলাদেশ।-খবর তোলপাড়।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ২৫৩ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে লাল সবুজদের সংগ্রহ ২৫২ রান। সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন অধিনায়ক শান্ত, নাসুম ২৪ বলে ২৫ আর জাকের ২৭ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন নাঙ্গেলিয়া খারোতে। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন এএম গজনফর ও রশিদ খান।
প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৯২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ২৩৬ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৪৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল শান্ত বাহিনী। সে তুলনায় একইপিচে প্রতিপক্ষের জন্য ভালো পুঁজিই দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ১০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট না হারালে হয়তো সংগ্রহটা আরও ভালো হতে পারতো।
এদিন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা করেছিলেন তানজিদ। তবে ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। এএম গজনফরকে ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই টাইমিংয়ে গড়বড় করে মিড অনে ধরা পড়েন মোহাম্মদ নবির হাতে। তাতে ১৭ বলে ৩ চার ১ ছয়ে ২২ রানে থামল তানজিদের ইনিংস।
তার বিদায়ের পর সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে দুটি জুটি গড়ে দলকে দারুণ অবস্থানে রেখেছিলেন শান্ত। সৌম্যের সঙ্গে ৭১ রানের পর মিরাজের সঙ্গে গড়েছিলেন ৫৩ রানের জুটি। ৪৯ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রানে থামেন সৌম্য। যদিও রিভিউ নিলেই বেঁচে যেতে পারতেন তিনি। কারণ স্টাম্পে হিট করলেও বল পিচ করেছিল আউটসাইড লেগে। কিন্তু অন্য প্রান্তে অধিনায়ক নাজমুলের সঙ্গে কথা বলে সাড়া না পাওয়ায় রিভিউ না নিয়েই ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটা ধরেন সৌম্য। অন্যদিকে রশিদ খানের গুগলি ভুল করে বোল্ড হন মিরাজ। ৩৩ বলে ২২ রানে থামে তার ইনিংস। দলের সংগ্রহ তখন ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান।