বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২১ অপরাহ্ন
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটের ফল বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। ভোটে অনিয়ম ও জাল ভোটের ফুটেজ রয়েছে দাবি করে তিনি নির্বাচিত মোহাম্মদ এ আরাফাতের শপথ বাক্য না পড়ানোর অনুরোধ করেন স্পিকারকে।
রবিবার(২৩জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে লিখিত অভিযোগ নিয়ে ইসির আগারগাঁও অফিসে যান হিরো আলম। ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলম পান ৫ হাজার ৬০৯ ভোট।-খবর তোলপাড় ।
আবেদনে হিরো আলম বলেন, নির্বাচনের দিন ১৭ জুলাই ভোট গ্রহণ শুরুর ১ ঘন্টার মধ্যে আমার তালিকাভুক্ত মনোনীত প্রায় ৮৮ জন এজেন্ট ১৯টি ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ব্যাপক জাল ভোট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনের দিন বিকেল ৩টার দিকে বনানী বিদ্যা নিকেতন ভোট কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে ভোট গ্রহণ পরিদর্শনের সময় সরকার দলীয় ক্যাডার দ্বারা আমার উপরে হামলা করা হয়। যা দেশ ও বিদেশের কোটি কোটি মানুষ ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার মাধ্যমে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ওই ঘটনার পর বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমার মনোনীত এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে ভোট গণনা করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ নির্বাচনবিধি পরিপন্থী। আমার উপরে উদ্দেশ্যপ্রনদিত হামলা ও ব্যাপক জাল ভোট ও ভোট গণনার অনিয়ম নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাই আমি মনে করি এই নির্বাচন বিধিসম্মত হয়নি।
হিরো আলম বলেন, নির্বাচনকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল ঘোষণা করে পুনর্নির্বাচনের দাবি করছি। সেই সঙ্গে আমার প্রতিপক্ষকে নির্বাচন বিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে তার বিরুদ্ধে যথাবিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা-১৭ আসনে জাল ভোট পড়েছে। এই ভিডিও ও ফুটেজ আমার কাছে আছে। তাই স্পিকার স্যারকে বলবো আরাফাত ভাইকে যেন শপথবাক্য না পড়ান।
ইসিতে আপিল খারিজ করলে কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, যেহেতু ভোটের অনিয়ম ও জাল ভোটের ফুটেজ আছে তাই হাইকোর্টে যাবো। আমি এই নির্বাচনের শেষ দেখে ছাড়বো।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট চলাকালে বনানী এলাকায় মারধরের শিকার হন হিরো আলম। বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে তাকে মারধর করা হয়। এ সময় হামলাকারীরা হিরো আলমকে ধাওয়া দিয়ে মারতে মারতে সেখান থেকে কিছুদূর পর্যন্ত নিয়ে যায়। পরে একটি গাড়িতে উঠে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান হিরো আলম।
হামলার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।