শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন

ডিসেম্বরে ভারত-বাংলাদেশ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

রিপোর্টারের নাম / ১৬ টাইম ভিউ
Update : বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। তারপর থেকেই বাংলাদেশ-ভারত রাজনৈতিক সম্পর্ক এক অচলাবস্থার মধ্যে পড়ে। আর এই অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে সম্প্রতি দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়। এবার ঢাকায় ভারত-বাংলাদেশ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ডিসেম্বরে। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এটি হবে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সরকারি বৈঠক।

পররাষ্ট্র দপ্তরের এই আলোচনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন এবং ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি নেতৃত্ব দেবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বুধবার (২০ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকের জন্য প্রয়োজনীয় এজেন্ডা প্রস্তুত করছে এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় প্রস্তুতিমূলক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।-খবর তোলপাড়।

বৈঠকে বিদ্যমান চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক এবং আগের বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির সফরটি হতে পারে। এখন সফরের দিনক্ষণ ঠিক করা নিয়ে দুই পক্ষে কথা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কিছুটা টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে, বিশেষ করে ভারতের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার ঘটনায়। ১৭ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার বিষয়ে ঢাকা নয়াদিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করবে। সরকার পরিবর্তনের পর ভারতীয় হাই কমিশন বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিসা ইস্যু সীমিত করেছে।

এছাড়া, ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতাধীন অনেক প্রকল্প বন্ধ রয়েছে, কারণ ভারতীয় ঠিকাদাররা নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে বাংলাদেশে ফিরে আসেননি।

এদিকে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ঢাকায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নয়াদিল্লির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা উল্লেখ করেছেন, ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করছে, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য ইতিবাচক নয়।

দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং ভারতের হরিয়ানাভিত্তিক ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে যত দ্রুত সম্ভব উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হওয়া উচিত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর