মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদদাতা, উলিপুর(কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের উলিপুরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচা ক্ষুব্ধ হয়ে আপন ভাতিজাকে পাখি মারা বন্দুক দিয়ে গুলি করে গুরুতর আহত করেছে। চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিক অপারেশনের মাধ্যমে তার শরীর থেকে একটি বুলেট বের করেছে। গুরুতর আহত ভাতিজা বর্তমানে উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে উলিপুর পৌর সভার খাওনার দরগা গ্রামে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শুক্রবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে চাচা- ভাতিজা ও বিধবা ভাবীর সাথে বসচা হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ চাচা মোঃ আব্দুল হাকিম ক্ষুব্ধ হয়ে ঘরে ঢুকে ভাতিজাসহ ভাবীকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার নিজস্ব পাখি মারা বন্দুক (এয়ার গান) জানালা দিয়ে তাক করে ভাতিজা ও ভাবিকে হত্যার লক্ষ্য করে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়ে। চাচার ছোড়া গুলি ভাতিজা শাহীন আলম শরীরে বিদ্ধ হলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তার ডান কানের উপরে মাথায় অপারেশনের মাধ্যমে একটি বুলেট বের করে।
আহত শাহিন আলমের ছোট ভাই সাকিব সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার সময় মা ,ভাই শাহিন আলমসহ আমরা ৩জন বাড়ির আঙ্গিনায় এক জায়গায় অবস্থান করছিলাম। এভাবে আমাদের উপর হঠাৎ করে চাচা গুলিবর্ষণ করবে এটা কখনো কল্পনা করিনি। মা সহ আমি অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। শাকিব আরো অভিযোগ করে বলেন, তার বাবার মৃত্যুর কিছুদিন পর থেকে তার চাচা হাকিম প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে আসছিল এই বলে যে তাদের বাবার রেখে যাওয়া পৈত্রিক ভিটা দখলে নিতে প্রয়োজনে তাদের মেরে ফেলবে”।গুলিবর্ষণের এ ঘটনা তারই প্রমাণ।
এদিকে আহত শাহিন আলমের বিধবা মা মোছাম্মদ সাহিদা বেগম নিজে বাদী হয়ে মোঃ আব্দুল হাকিমকে প্রধান আসামি করে ৩জনের বিরুদ্ধে গুলিবর্ষণ করে হত্যা চেষ্টা অভিযোগে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ রিপোর্ট লেখার সময় পুলিশ অভিযুক্ত আব্দুল হাকিমকে গ্রেফতার করতে পারিনি। এদিকে আপন ভাতিজাকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় ওই গ্রামের মানুষজনের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মর্তুজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আসামিকে আইনের আওতায় আনা হবে।