কুড়িগ্রামে বিএনপি নেতার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন

কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি মোস্তাফিজার রহমানের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল চেয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সহিদুল ইসলাম।-খবর তোলপাড়।
আবেদনে বলা হয়, মোস্তাফিজার রহমান ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার সাহেবগঞ্জ থানার খুবিরের কুটি (চৌধুরীর হাট) গ্রামের মোজাহারুল হক ও মোছা. কবিজন নেছার ছেলে। প্রেমের সম্পর্কে এক হিন্দু নারীকে নিয়ে ১৯৭৬ সালে তিনি পালিয়ে কুড়িগ্রামে আশ্রয় নেন। সে সময় অনুপ্রবেশের দায়ে পুলিশ তাদের আটক করে এবং প্রায় ছয় মাস জেল খাটেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুক বলেন, ‘মোস্তাফিজার দীর্ঘদিন কুড়িগ্রামে আছেন। জাতীয় পার্টি থেকে ১৯৯৪ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। মোস্তাফিজার কীভাবে নাগরিকত্ব পেয়েছেন, তা জানি না।’ কুড়িগ্রাম-১ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুর রহমান রানা জানান, তাদের এলাকার মানুষ সহজ-সরল। মানবিক দিক বিবেচনা করে মোস্তাফিজকে বসবাসে সহযোগিতা করেছেন। তবে তিনি যে ভারতীয় নাগরিক, জেলখানার নথি খুঁজলেই সত্যতা পাওয়া যাবে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘মানসম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন আমার নাগরিকত্ব প্রমাণের কাগজপত্র চাইলে দিতে প্রস্তুত আছি।’
কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, মোস্তাফিজার রহমানের বিরুদ্ধে ভারতীয় নাগরিকত্বের তথ্য গোপন করে এনআইডি নেওয়ার অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: সমকাল।