নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারে ‘প্রস্তুত’ ইউরোপের ৭ দেশ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। আর এই আদেশ আমলে নিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ৭ সদস্যরাষ্ট্র।-খবর তোলপাড়।
এই সদস্যরাষ্ট্রগুলো হলো: নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, সুইডেন, বেলজিয়াম এবং নরওয়ে। এছাড়া যুক্তরাজ্য ও উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডাও নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের মাটিতে পা রাখলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করবে দেশটির সরকার। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। অন্যদিকে, ফ্রান্স জানিয়েছে, পরোয়ানাটি বৈধ। তবে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা ‘আইনগতভাবে জটিল’ হবে।
গত মে মাসে নেতানিয়াহু, ইয়োভ গ্যালান্ত এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ, হামাসের তৎকালীন প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও গাজার হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন আইসিসির কৌঁসুলি করিম খান।
তার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত এবং মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালত। হানিয়া এবং সিনওয়ার ইতোমধ্যে নিহত হওয়ায় তাদেরকে এ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আইসিসির এই পরোয়ানা জারি পশ্চিমা বিশ্বে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। কয়েকটি রাষ্ট্র জানিয়েছে যে তারা আদালতের পরোয়ানা মেনে নিয়ে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের জন্য প্রস্তুত। অনেকে আবার নেতানিয়াহুর প্রতি সমর্থনও জানিয়েছেন।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান আইসিসির এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, তিনি শীঘ্রই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে হাঙ্গেরি সফরের জন্য আমন্ত্রন জানাবেন।