বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন
টানা দু’দিন চেষ্টা করেও ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পাকিস্তানি পুলিশ ও রেঞ্জার্সের যৌথ দল। সমর্থকদের বাধার দেয়াল ভাঙতে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত পিছু হটেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এর পরপরই উল্লাসে মেতে ওঠেন পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইতে থাকে সাংবাদিক-আইনজীবীদের আলোচনা-সমালোচনা।-খবর তোলপাড় ।
পাকিস্তানের আইনজীবী রীমা ওমর এক টুইট বার্তায় লেখেন, ইমরান খানের আদালতে হাজির না হওয়া ও বারবার গ্রেপ্তার এড়ানোর কোনো নৈতিক বা আইনি যৌক্তিকতা নেই। তিনি আরও বলেন, পিটিআই কর্মী-সমর্থক ও নেতার পদক্ষেপগুলো ‘রাষ্ট্রের মধ্যে একটি রাষ্ট্র’ তৈরির প্রচেষ্টা। যা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
যদিও সবাই তার সাথে একমত হয়নি। সাংবাদিক আতিকা রেহমান বলেন, ইমরানকে গ্রেপ্তার করার জন্য কতবার চেষ্টা করেছিল, আর কতবার ব্যর্থ হয়েছিলো, সেটা আমার গণনার বাইরে।
এদিকে, সাংবাদিক মুবাশ্বির জাইদি টুইট করে বলেন, পিটিআই প্রধান গ্রেপ্তার এড়িয়ে রাজনীতিবিদ হিসাবে অবস্থান তৈরির সুযোগ হারিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, রাজনৈতিক নেতারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন, কাল্ট নেতাদের মতো মানুষের ঢাল নেন না।
দেশটির টিভি উপস্থাপক কামরান খান- পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের কৌশলকে ‘পুরোপুরি বোকা’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইমরানকে ‘লাহোর থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস পর্যন্ত নন-স্টপ কভারেজ’ দিয়েছে।
অন্যদিকে, উপস্থাপক ও কলামিস্ট আরিফা নূর এটাকে ‘আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা’ বলে অভিহিত করে বলেন, এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যেখানে ‘রাষ্ট্র তার নিজের লোকদেরকে হিংসাত্মক প্রদর্শনীর মুখোমুখি করেছে।’ সূত্র: দ্য ডন