বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন

নোটিশ:
দৈনিক তোলপাড় পত্রিকা থেকে আপনাকে স্বাগতম। তোলপাড় পত্রিকা আপনার আমার সবার। আপনার এলাকার উন্নয়নের ভূমিকা হিসেবে পত্রিকাটির মাধ্যমে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি।  এ জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলা-বিভাগ-কলেজ ক্যাম্পাসসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সাংবাদিক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পত্রিকাটির পর্ষদ।  আগ্রহী হলে আপনিও এক কপি রঙিন ছবিসহ নিম্ন ঠিকানায় সিভি প্রেরণ করে নিয়োমিত সংবাদ পাঠাতে পারেন। সেই সাথে সারা বিশ্বে আপনার এলাকার প্রতিষ্ঠানের প্রচারেরর জন্য  ৫০% কমিশনে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।

ফুলপরীকে নির্যাতন: ইবির ৫ ছাত্রীকে নতুন করে শাস্তি দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনের নির্যাতনে ঘটনায় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রীসহ পাঁচ শিক্ষার্থীর বহিষ্কার আদেশ বাতিল করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নতুন করে শাস্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নেয়া ব্যবস্থা যথাযথ প্রক্রিয়ায় না হওয়ায় বুধবার এ আদেশ দেন বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।-খবর তোলপাড় ।

ওই শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও একই বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান। এর মধ্যে সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। অন্যরা ছাত্রলীগের কর্মী।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী গাজী মো. মহসিন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। আর বিশ্বিবিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।

রিটকারী আইনজীবী গাজী মো. মহসীন বলেন, আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান হচ্ছে ছাত্রত্ব বাতিল মানে স্থায়ী বহিষ্কার। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কোড অব কন্ডাক্ট অব স্টুডেন্ট, ১৯৮৭’র প্রথম অধ্যায়ের ৪, ৫ ও ৭ ধারা এবং দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৮ ধারা সর্বোচ্চ শাস্তির কথা বলা আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, তারা সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু এক বছরের জন্য বহিষ্কারাদেশ তো সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন প্রতিবেদনে আদালত বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন।

বিশ্বিবিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি এক বছরের জন্য পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট-১৯৮৭ এর বিদান অনুসারে শাস্তির বিষয়ে প্রথম সিদ্ধান্ত নিবেন উপাচার্য। উপাচার্যের শাস্তি যথাযথ হয়েছে কিনা সে ব্যাখ্য-বিশ্লেষণের পর চূড়ান্তভাবে শাস্তি বা সাজা আরোপ করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটি। শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্তে শাস্তি কম-বেশি হতে পারে। কিন্তু এই পাঁচ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে উপাচার্য কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। বিশ্বিবিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটি সরাসরি শাস্তি আরোপ করেছেন। পাঁচজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছেন। কিন্তু এই বহিষ্কার আদেশটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় না হওয়ায় তা বাতিল করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নতুন করে শাস্তি বা সাজা আরোপ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালতের বক্তব্য তুলে ধরে শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুসারে সাজা বা শাস্তি আরও বেশি দেয়ার সুযোগ আছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই বলেছে জঘন্য অপরাধ (ফুরপরীকে নির্যাতন) ঘটেছে, তাই আদালত বলেছেন, সে হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলে সাজা আরও বেশি দিতে পারে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদনে বলেছে, এক বছরের বহিষ্কারাদেশকে সর্বোচ্চ সাজা। প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে সাড়ে চারঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন ফিন্যান্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুন। ভুক্তভোগী ছাত্রীর ভাষ্য, সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা তাকে নির্যাতন করেন। এ সময় তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল ও ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।

পরে ভুক্তভোগী ফুলপরী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় রিট হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি কিছু নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। পরে তদন্ত প্রতিবেদনে নির্যাতনের সত্যতা মিললে অভিযুক্তদের হল এবং শাখা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয় নির্যাতনকারীদের। অভিযুক্ত ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে গত ১৫ জুলাই এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ কোনো কিছুতেই অংশ নিতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে এটা সর্বোচ্চ শাস্তি বলে জানান প্রক্টর শাহাদৎ হোসেন।

ইবির পাঁচ শিক্ষার্থীর বহিষ্কার আদেশ আদালতকে জানাতে প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ; যা গত ১৯ জুলাই আদালতে উপস্থাপন করা হয়। রিটকারী আইনজীবী সেদিন বহিষ্কার আদেশ ও শাস্তি বিধিসম্মত হয়নি বলে প্রশ্ন তোলেন। শুনানির পর আদালত কোন প্রক্রিয়ায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে তা জানতে চান।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

দৈনিক তোলপাড় এর পক্ষ থেকে সকল পাঠক লেখক সাংবাদিক ও শুভানুধায়ীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, পত্রিকাটি বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগ জেলা উপজেলা থানা কলেজ ক্যাম্পাস-এ এক ঝাঁক তরুন-তরুনী সাংবাদিক নিয়োগ করতে যাচ্ছে ।

আগ্রহীরা দ্রুত এক কপি ছবিসহ প্রধান সম্পাদক বরাবর আবেদন করুন.. আবেদন পাঠানোর ঠিকানা-dailytolpercv@gmail.com

এছাড়া বিশেষ ৫০% ছাড়ে সারাবিশ্বে প্রচারের জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। বিজ্ঞাপন পাঠানোর ঠিকানা-dailytolpernews@gmail.com যোগাযোগ করুন-+88 01915394614, +8801719026700


© All rights reserved © 2017 তোলপাড়