বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০৪ অপরাহ্ন
গ্রিসের উত্তরাঞ্চলের লারিশা শহরের কাছে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৩৮ জন নিহত হয়েছে। এটিকে গ্রিসের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর ট্রেন দুর্ঘটনা বলে দেশটির গণমাধ্যমে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, যাত্রীবাহী ট্রেনে ৩৫০ জন যাত্রী ছিল। ট্রেনের সামনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুটি বগি আগুনে পুড়ে যায়। যাত্রীবাহী ট্রেনটি রাজধানী এথেন্স থেকে উত্তরের শহর থেসালোনিকিতে রওনা করেছিল। আর মালবাহী ট্রেনটি বিপরীত দিক থেকে আসছিল।-খবর তোলপাড় ।
এদিকে, এই ট্রেন দুর্ঘটনা গ্রিসের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা হিসেবে আখ্যা দিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস বলেছেন, ‘সংশ্লিষ্টদের দুঃখজনক গাফিলতির’ কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনা হলেও এর দায় সংশ্লিষ্টদের।
অন্যদিকে,ট্রেন দুর্ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন দেশটির পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস। বুধবার (১ মার্চ) দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিনি। এরপরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি বলেন, ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর আর দায়িত্বে থাকা মানায় না। তার এখনই সরে যাওয়া উচিৎ।
গ্রীসের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন জানিয়েছে, ট্রেন দুটি সংঘর্ষের আগে অন্তত ১২ মিনিট একই লাইনে ছিল। এ সময়ে ট্রেন দুটি প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সংঘর্ষে যাত্রীবাহী ট্রেনের কিছু বগি লাইনচ্যুত হয়। কয়েকটি বগিতে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে।
গ্রিসের উত্তরাঞ্চলে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ । ছবি: সংগৃহীত
অ্যাঞ্জেলস তিয়ামোরাস নামের এক যাত্রী স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘দুর্ঘটনার সময় মনে হচ্ছিল ভূমিকম্প হচ্ছে।’
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, যখন ট্রেন দুটির সংঘর্ষ হয় তার আগে যাত্রিবাহী ট্রেনটি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল। তবে মালবাহী ট্রেনটির গতি কেমন ছিল তা জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে লারিসা শহরে বিপরীতমুখী দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। ট্রেন দুটির মধ্যে একটি ছিল যাত্রীবাহী অপরটি মালবাহী। দুর্ঘটনার পর যাত্রীবাহী ট্রেনটির কয়েকটি বগিতে বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে অন্তত সাড়ে ৩শ’ যাত্রী ছিল।