বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫৬ অপরাহ্ন
ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত চীনের রাজধানী বেইজিংসহ দেশটির উত্তরাঞ্চলে। টানা চারদিনের প্রবল বর্ষণে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন এবং নিখোঁজ কমপক্ষে ২৭ বাসিন্দা। বন্যাকবলিত এলাকা থেকে আরও হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বুধবার (২আগষ্ট) সংবাদমাধ্যম এপি’র খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।-খবর তোলপাড় ।
মঙ্গলবার টানা চতুর্থ দিনের মতো বেইজিং প্লাবিত হয়েছে শক্তিশালী টাইফুন ডকসুরির আঘাতে। প্রলয়ঙ্করী টাইফুনের প্রভাবে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদ-নদীর পানি। তলিয়ে গেছে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাটসহ ফসলি জমি। বাতিল করা হয়েছে অর্ধশতাধিত ফ্লাইট। বন্যার পানিতে আটকে পড়া একটি ট্রেন স্টেশন থেকে যাত্রীদের উদ্ধারে ব্যবহৃত হচ্ছে ৪টি সামরিক হেলিকপ্টার। নিয়োজিত রয়েছেন ২৬ সেনা সদস্যের একটি দল। সরবরাহ করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ। শঙ্কার খবর হলো, আরেকটি টাইফুন ‘খানুন’ চীনের পূর্ব উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, পুরো জুলাই মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা; গত ৪০ ঘণ্টায় সেটি রেকর্ড করা হয়েছে বেইজিংয়ে। চীনের রাজধানীতে বহাল রেড অ্যালার্ট। ফেংশান ও মেনতোগো এলাকায় উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে পানির উচ্চতা। আটকা পড়েছে কমপক্ষে ৩টি ট্রেন। দুটি এলাকার রাস্তায় ডুবে গেছে কয়েকশ যানবাহন। জরুরি ভিত্তিতে ৪৫টি ট্যাংকার সরবরাহ করছে পানি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৮ জুলাই) টাইফুন ডকসুরি’র প্রভাবে বেইজিংয়ে শুরু হয় প্রবল ঝড়বৃষ্টি। ২০০৬ সালে টাইফুন ‘সাওমি’ আঘাত হানার পর ডকসুরি চীনের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়। এর আগে বেইজিংয়ের নিকটবর্তী সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়টি ছিল ১৯৭২ সালের ‘রিটা’।