শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা
বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে তার আগের বক্তব্য এবং ফাঁস হওয়া অডিও-ভিডিও সরাতে বিটিআরসি, তথ্য ও সম্প্রচার এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) প্রসিকিউশন টিমের এক আবেদনের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।-খবর তোলপাড়।
এর আগে, প্রসিকিউশনের পক্ষে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ট্রাইব্যুনালের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে অবস্থান করে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় অন্তবর্তীকালীন সরকারকে নিয়ে নানা কটুক্তি করছেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন ইস্যুতেও কথা বলতে শোনা গেছে তাকে।
প্রসিকিউশনের ভাষায়, তিনি যেসব বলছেন তা বিদ্বেষমূলক। সেগুলো বন্ধেই এ আবেদন করা হয়েছে।
৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের কয়েকশ অভিযোগ জমা পড়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে।
গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরই মধ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ৯ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক সচিবকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করতে গত ১৮ নভেম্বর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
এর আগে, শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়।