বেহায়াপনা ও অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে টিকটক !
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিতের চেয়ে সমালোচিতই বেশি টিকটক। এতে প্রতিনিয়ত ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়লেও খারাপ অর্থেই বেশি ব্যবহৃত হয় এই অ্যাপটি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম টিকটকে বেশি সময় পার করছেন। বর্তমান সমাজে টিকটকের মাধ্যমে বেহায়াপনা ও অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে বেশি। বর্তমানে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবাই এই বিষাক্ত টিকটকের জালে আটকে আছে।
কয়েক সেকেন্ডের এই ভিডিওতে প্রতিযোগিতায় লেগে যায় কে কত বেশি নিজেকে আর্কষণীয়ভাবে তুলে ধরতে পারে। বিশেষ করে শরীরের খারাপ অঙ্গভঙ্গি দেখিয়ে টিকটকে ভিডিও বেশি বানানো হয়। এতে বেশি কতটা নির্লজ্জভাবে নিজেকে হাইলাইট করতে পারে অন্যের কাছে, লাইক, শেয়ার, কমেন্ট, ফলোয়ার, ভিউ ও সাবসক্রাইবের জন্য নিজের শরীরের ভাঁজ দেখানোর মতো এমন নিচুতা ও হীনতা বোধহয় হয় না আর! পোশাকের উদ্ভট কারুকাজ ও চেহারার কৃত্রিমতা সব মিলিয়ে তাদের মানসিক বিকারগ্রস্ত ছাড়া কিছুই বলা যায় না।-বিনোদন তোলপাড়।
মেয়েরা শরীরের ভাঁজ দেখালেয় যেন আনন্দ পায়। অন্যকে শরীর দেখিয়ে আনন্দ পাওয়া, উদ্ভট আচরণ করে অন্যের মনোযোগ আর্কষণ করা। টিকটক বদৌলতে অনেকে ভিডিও বানাতে প্রাণ হারাচ্ছেন এবং কেউ নেশাগ্রস্থ বা ঘরছাড়া হচ্ছেন। সম্প্রতি কলেজ ছাত্র রাফি টিকটক করতে গিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের সাথে ধাক্কা লেগে মৃত্যু হয় তার, সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার আলমনগর গ্রামের দক্ষিণ পাড়া সামসু মিয়ার ছেলে।
ইতোমধ্যে টিকটককে নিষিদ্ধ করেছে কয়েকটি দেশ। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, এস্তোনিয়া, যুক্তরাজ্য, ইইউ প্রতিষ্ঠান, ফ্রান্স, নরওয়ে, বেলজিয়াম, ভারত, আফগানিস্তান, তাইওয়ানসহ আরও অনেক কয়েকটি দেশ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার পথে। এছাড়া কয়েকটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকটক নিষিদ্ধ রয়েছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সরকার ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া কানাডা সরকার নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে কার্যালয় বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে বালাদেশে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার কথা উঠেছিল। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মগুলোর চেয়ে টিকটকে বেশি অপব্যবহার হয়। কিন্তু এই টিকটকের বিরুদ্ধে অনেক দেশ সোচ্চার হয়েছে এবং কঠোর পদক্ষেপও নিয়েছে।