বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৫০ অপরাহ্ন
মোশারফ হোসেন,কাউনিয়া (রংপুর):
রংপুরের কাউনিয়ায় ৩ বছরের শেষ হয়নি রাস্তা পাকাকরণের কাজ। সড়কের অর্ধেক কাজ করে রেখে দেওয়ায় পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, উপজেলা শহর (নন-মিউনিসিপ্যাল) মাস্টার প্লান প্রণয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্র বাজার থেকে কালির ইন্দ্রারপার পর্যন্ত প্রায় পৌনে তিন কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের কাজ পায় তাহিতী এন্টারপ্রাইজ কামাল কাছনা,রংপুর। গত ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হয় রাস্তা পাকাকরণের কাজ । ২০১৯-২০ অর্থবছরে টেন্ডার হয়, যার টেন্ডার মূল্য ছিল ২ কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৪৫৬ টাকা। কাজ শেষ করার সময় ছিল ২০২১ সালে।
স্থানীয়রা জানায়, সড়কে ইটের খোয়া দেওয়ার পর হঠাৎ বন্ধ হয়ে সংস্কার কাজ। অন্যদিকে সড়কে ইটের খোয়া দেওয়ায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে পথচারী ও জনসাধারণের। দ্রুত কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করার দাবি জানিয়ে এলাকাবাসী। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ মশিউর রহমান ও শিক্ষক মোঃ মজিবর রহমান জানান, গত ২০২০ সালে এই সড়কের সংস্কার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করা হয়। এরপর বালি ও খোয়া দিয়ে রেখে দেয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর ২০২২ ইং সালেও শেষ হয়নি ২.৮৩ কিলোমিটার সড়কের সংস্কারকাজ।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতায় কাজ শেষ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে এই পথে চলাচলকারীরা। ভাঙা সড়কে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। শিক্ষক নির্মল চন্দ্র বলেন, ‘প্রায় তিন বছর ধরে এই সড়কটি এভাবে পড়ে আছে। ভাঙা সড়কে পানি জমে থাকে, প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এই সড়কে চলাচল করতে মানুষের খুবই অসুবিধা হয়।
স্থানীয় প্রানী চিকিৎসক(পল্লী) মলিন চন্দ্র বলেন, ‘সড়কের এ বেহাল অবস্থার কারণে দুই মিনিটের গন্তব্যে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগে ভাঙাচোরার জন্য আমাদের গাড়ির প্রচুর ক্ষতি হয়। তিন বছর ধরে আমরা কষ্ট করে চলছি। আমরা তো অসহায় হয়ে গেছি। কার কাছে বলব কষ্টের কথা, বলার কোনো জায়গা নেই। এ নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাহিতী এন্টারপ্রাইজ এর আব্দুর রউফ সরকার বলেন,ফান্ড এর কারনে কাজ হচ্ছে না। সবগুলার ফান্ড আসে এটার আসে না। যখন জিনিসপাতির দাম কম ছিল তখন যদি টাকা দিত কবেই কাজ শেষ হয়ে যেত। এখন জিনিসপাতির দাম বেড়ে গেছে আবার ফান্ডে টাকা নাই শুধু বলেন করেন করেন। টাকা দিলেই কাজ করে দিব।
তবে কাউনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামান জেমি(এলজিইডি)বলেন, ঠিকাদারকে একাধিকবার মৌখিক ও পত্রযোগে কাজটি শেষ করার জন্য বললেও তিনি কর্ণপাত করছেন না। ’যদি তিনি কাজ না শুরু করেন, তাহলে আমরা চুক্তি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। টেন্ডারটি বাতিলের মাধ্যমে পুনরায় টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান।