বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন

নোটিশ:
দৈনিক তোলপাড় পত্রিকা থেকে আপনাকে স্বাগতম। তোলপাড় পত্রিকা আপনার আমার সবার। আপনার এলাকার উন্নয়নের ভূমিকা হিসেবে পত্রিকাটির মাধ্যমে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি।  এ জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলা-বিভাগ-কলেজ ক্যাম্পাসসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সাংবাদিক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পত্রিকাটির পর্ষদ।  আগ্রহী হলে আপনিও এক কপি রঙিন ছবিসহ নিম্ন ঠিকানায় সিভি প্রেরণ করে নিয়োমিত সংবাদ পাঠাতে পারেন। সেই সাথে সারা বিশ্বে আপনার এলাকার প্রতিষ্ঠানের প্রচারেরর জন্য  ৫০% কমিশনে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।

চট্টগ্রামের ভয়াবহ বন্যা: পানিবন্দি ১৩ উপজেলার মানুষ

চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পাহাড়ি ঢল আর অতি ভারী বৃষ্টিতে নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার আরও বিস্তৃতি ঘটেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা।

পানিবন্দি মানুষের মধ্যে হাহাকার ও আর্তনাদ চলছে। আশ্রয়ের খোঁজে পানি-স্রোত ভেঙে ছুটছে মানুষ। সবচেয়ে বিপদে আছেন শিশু ও বয়স্করা। আটকে পড়াদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে। যেখানেই শুকনো ও উঁচু জায়গা পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ।

চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলার মধ্যে দক্ষিণের সাতকানিয়া, বাঁশখালী, পটিয়া ও আনোয়ারা এবং উত্তরের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ড, মীরসরাই, হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়া এলাকার পরিমাণ বেশি। এছাড়া চন্দনাইশ, বোয়ালখালী ও সন্দ্বীপের কিছু এলাকার মানুষও পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

জেলার উপজেলাগুলোতে খবর নিয়ে জানা যায়, টানা বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় শঙ্খনদীর পানি বিপদ সীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে চন্দনাইশ ও দোহাজারী পৌরসভার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। উপজেলার নিম্নাঞ্চল সমূহের বিস্তীর্ণ বর্ষাকালিন সবজি ক্ষেত, আউশ ধানের বীজতলা পানিতে ডুবে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার।

দোহাজারী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শাহ আলম বলেছেন, অবিরাম বৃষ্টির কারণে এলাকার বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি সড়কগুলো পানির নিচে তলিয়ে আছে। দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণের কারণে উল্লাপাড়া এলাকার পানি নিষ্কাষণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। ফলে বৃষ্টির পানি কোনদিকে প্রবাহিত হতে না পেরে উল্লাপাড়া এলাকার সাধারণ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

লোহাগাড়ার আমিরাবাদের ব্যবসায়ী মো. সেলিম বলেন, সাতকানিয়া লোহাগাড়ার পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ। বার আউলিয়া কলেজের সামনে পর্যন্ত রাস্তায় প্রচুর পানি। মহাসড়কে পানি উঠেছে, যা কল্পনাতীত। সাতকানিয়ার অবস্থা আরও খারাপ।

হাটহাজারীতে কয়েকদিনের লাগাতার বর্ষণে উপজেলার আওতাধীন ৪০ টি গ্রামের ২ লক্ষাধীক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে রাউজানের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চাল প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্নস্থানে উপড়ে পড়েছে বড় বড় গাছ। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ প্রবাহ সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

অপরদিকে, পানিতে তলিয়ে গেছে বোয়ালখালীর অধিকাংশ রাস্তাঘাট। পানি উঠার কারণে ব্যাহত হয়েছে অফিস আদালত স্কুল–কলেজ ও হাসপাতালের কার্যক্রম । এতে দুর্ভোগ বেড়েছে এলাকাবাসির, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের।

এছাড়া ভারি বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢলে ফটিকছড়ির বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে । এখানকার অনেক বীজতলাসহ ডুবে গেছে বহু গ্রামীণ রাস্তাঘাট, মৎস্য খামার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার। নিম্নাঞ্চল মানুষরা চরম দুর্ভোগ পড়েছেন।

পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বর্ষণের কারণে উপজলার দাঁতমারা, নারায়নহাট, পাইন্দং, কাঞ্চননগর, হারুয়ালছড়ি, সুয়াবিল, রোসাংগিরী, নানুপুর, লেলাং, বক্তপুর, ধর্মপুর, সমিতিরহাট, জাফতনগর, আবদুল্লাহপুর ও সুন্দরপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত।

এছাড়া ফটিকছড়ি পৌরসভা ও নাজিরহাট পৌরসভার কয়েকটি এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বলে জানা গেছে। সাথে সাথে ইউনিয়নগুলোর উপরদিয়ে প্রবাহিত হালদা, ধুরুং, লেলাং, মানাইছড়ি, কুতুবছড়ি, বারমাসিয়া, ফটিকছড়ি, হারুয়ালছড়ি, গজারিয়া, শোভনছড়ি, রক্তছড়ি , সর্তা ও তেলপারাই খালের পানি বিপদ সীমার উপর দিয় প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে ।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার জানান, বেশির ভাগ উপজেলায় পানি বাড়ছে। এরমধ্যে ১০টি উপজেলায় পানির পরিমাণ বেশি।

তিনি বলনে, দক্ষিণের উপজেলাগুলোতে পানি বাড়ছে মূলত পাহাড়ি সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বাড়াতে। উত্তরেও ভারি বৃষ্টির সাথে যোগ হয়েছে পাহাড়ি ঢল। বাড়ছে হালদা ও কর্ণফুলীর পানিও।

এদিকে লোহাগাড়ায় বন্যার পানিতে ডুবে আসহাব মিয়া (৬৫) নামে এক কৃষক নিখোঁজ হয়েছে। সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিখোঁজ হলেও আজ মঙ্গলবার এখনও সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ আসহাব মিয়া আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ চট্টলা পাড়ার মৃত কালা মিয়ার পুত্র।

জানা গেছে, সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পদুয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় পানির স্রোতে ভেসে যান তিনি। এরপর থেকে এখনও খোঁজ মেলেনি। -সম্পাদনায় চট্টগ্রাম বার্তা সম্পাদক ।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

দৈনিক তোলপাড় এর পক্ষ থেকে সকল পাঠক লেখক সাংবাদিক ও শুভানুধায়ীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, পত্রিকাটি বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগ জেলা উপজেলা থানা কলেজ ক্যাম্পাস-এ এক ঝাঁক তরুন-তরুনী সাংবাদিক নিয়োগ করতে যাচ্ছে ।

আগ্রহীরা দ্রুত এক কপি ছবিসহ প্রধান সম্পাদক বরাবর আবেদন করুন.. আবেদন পাঠানোর ঠিকানা-dailytolpercv@gmail.com

এছাড়া বিশেষ ৫০% ছাড়ে সারাবিশ্বে প্রচারের জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। বিজ্ঞাপন পাঠানোর ঠিকানা-dailytolpernews@gmail.com যোগাযোগ করুন-+88 01915394614, +8801719026700


© All rights reserved © 2017 তোলপাড়
error: Content is protected !!