মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৭:৩২ অপরাহ্ন
শুভেচ্ছা বার্তা:
আলোকিত রাজারহাট একটি বহুল প্রচারিত প্রিন্ট পত্রিকা। এটি নিয়মিত প্রকাশ হয়ে আসছে। পত্রিকাটির পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা। আলোকিত রাজারহাট এর ওয়েবসাইট কয়েকদিনের মধ্যে আপনাদের মাঝে উন্মুক্ত হবে। আপনি গর্বিত সাইটটির সঙ্গে থেকে নিয়মিত খবর দেখুন ও পড়ুন। আমরা আপনার সঙ্গেই আছি। ধন্যবাদ।

ঢাকা কলেজ ছাড়া আন্দোলন ছিল অসম্ভব বললো রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা

রিপোর্টারের নাম / ৪৩ টাইম ভিউ
Update : বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

সংবাদদাতা, ঢাক:
৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল আন্দোলনে ঢাকা কলেজের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। এমনকি ২৪শের গণঅভ্যুত্থানেও ঢাকা কলেজের অবদান অনস্বীকার্য।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা কলেজের আ.ন.ম. খুররম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ‘ঢাকা কলেজের অবদান শীর্ষক’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সদস্য সচিব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাজমুল হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রূবাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা ও নির্বাহী সদস্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাকিব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমন্বয়ক রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ঢাকা কলেজ বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িত। এই গণঅভ্যুত্থানে ঢাকা কলেজের অবদান অনস্বীকার্য। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানেও ঢাকা কলেজের ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। ২৪শের গণঅভ্যুত্থানেও আমরা তা প্রত্যক্ষ করেছি। ঢাকা কলেজ ছাড়া আন্দোলন সফল করা সম্ভব হতো না। এই আন্দোলনে নারী পুরুষ সকলেই ওতপ্রোতোভাবে জড়িত ছিল। যখন আমাদের ঢাবির হলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, তখন আমরা কয়েকটা প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল হই তার মধ্যে ঢাকা কলেজ অন্যতম। আমাদের আন্দোলন চালানোর জন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক বেশি বড় ভূমিকা পালন করে। তেমনি ঢাকা কলেজও প্রথম সারিতে থেকে ভূমিকা পালন করেছে। আমরা এমন এক দেশের স্বপ্ন দেখি যেখানে নিজেদেরকে নতুন করে আবিষ্কার করবো, নতুন করে দেশ এবং সমাজের জন্য কাজ করবো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের আওয়ামী লীগের জাহেলিয়াতের যুগ পার করতে হয়েছে। এখন আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পেরেছি; কিন্তু কখনো ভাবতে হয়নি আমাদের বাসায় পুলিশ যাবে। আমরা অধিকাংশ সময় দেখি দেশের কিছু টকশো জীবীরা আহাজারি করে বলেন, ‘চারপাশে আমরা কি পেলাম? দেশ রসাতলে গিয়েছে! ক্ষোভ-কষ্ট তারা বর্ণনা করতে থাকে’। কিন্তু গত ১৬ বছরে এ আহাজারি অন্যায়, গুম, খুন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে টকশোতে প্রকাশ করতে দেখি নি। তরণ প্রজন্মের ক্রোধ রয়েছে যারা ফ্যাসিবাদের হয়ে লিখে গেছে। ক্ষোভ রয়েছে সেকল বিচারপতির বিরুদ্ধে যারা কলম দিয়ে ইনসাফের পরিবর্তে জুলুম লিখেছে।

জুলাই আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আরও বলেন, আমাদের ক্রোধ রয়েছে সে সকল শিক্ষকদের প্রতি যারা শান্তি সমাবেশে গিয়ে ফ্যাসিবাদের পক্ষে কথা বলেছে, যেসব আমলারা ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখতে ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করেছে, যেসব ব্যাসায়ীরা ‘মাদার অব টেরর ‘ শেখ হাসিনার কাছে গিয়ে উন্নয়নের বাণী শুনিয়েছে, যে সব পুলিশ জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্র তাক করেছে নিরস্ত্র জনগণের প্রতি এসব দোসরদের প্রতি ক্রোধ রয়েছে তরুণ প্রজন্মের।

নিহত ও আহত পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে হাসনাত বলেন, যেসব মায়েরা সন্তান হারিয়েছেন, যারা এতিম হয়েছে, ভাই-বোন হারিয়েছে, যারা বিধবা হয়েছে তাদের রক্ত শোকানের আগে স্বামীদের রাস্তার মধ্যে রক্ত দিতে হয়েছে, তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমাদের ১৬ বছরের আঘাত কিছু বুদ্ধিজীবী-টকশোজীবী যাদেরকে ভারত থেকে ফাইনান্স করা হয় তাদের কথা শুনে ভুলে গেলে চলবে না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজনীতি প্রসঙ্গে এই আহ্বায়ক বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো ক্রিয়াশীল সংগঠন না বরং ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে শক্তিগুলো ছিল ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, অধিকার পরিষদসহ সবাইকে একত্রিত করার জন্য এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতিক হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাঠে রয়েছে।ফ্যাসিবাদ বিরোধী দলগুলোকে বুঝতে হবে আমরা কোনো তথাকথিত কনভেনশনাল রাজনৈতিক ধারাবাহিকতার মধ্যে নেই। পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মানে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। কোনো শক্তি যদি মনে করে তরুণ প্রজন্মকে মাইনাস করে নিজেরা ক্ষমতায় যাবে তাহলে তারা ভুল ভাবছে।

জুলাই আন্দোলনে ঢাকা কলেজের অবদান নিয়ে খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, জুলাই আন্দোলনে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা ছিলেন আমার সহযোদ্ধা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদেরকে পাশে পেয়েছি। আন্দোলনের মধ্যেও ঢাকা কলেজের রাকিব ভাইয়ের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। দেশের প্রত্যেক ক্লান্তিকালে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের অনেক অবদান ছিল। আমাদের দেশে যখন সংকট এসেছে তখনই ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর