উলিপুরে জমি অধিগ্রহন জটিলতায় বাইপাস সড়ক নির্মাণ অনিশ্চয়তা বরাদ্দের টাকা ফেরত যাওয়ার আশংকা

আব্দুল মালেক উলিপুর:
কুড়িগ্রামের উলিপুরে জমি অধিগ্রহন জটিলতায় বাইপাস সড়ক নির্মানে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ফলে বরাদ্দের টাকা ফেরত যাওয়ার আশংকা রয়েছে। নকশা অনুমোদনের পর খোদ সড়ক বিভাগর নকশা কারকসহ কয়কজন কর্মচারী সড়কের নির্ধারিত জমি কিনে তড়িঘড়ি করে ৩টি ভবন নিমার্ন করায় জমি অধিগ্রহন জটিলতা দেখা দিয়েছে। ফলে সড়ক বিভাগ নিধার্রিত সময় টেন্ডার করতে পারনি বলে অভিযাগ উঠেছে।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী সোনাহাট স্থল বন্দর ও চিলমারী নৌ বন্দর চালু এবং হরিপুর তিস্তা সেতু নির্মাণের পর চিলমারী সড়ক দিয়ে ভারত থেকে পাথর নিয়ে বড় বড় ট্রাক চলাচল বেড়ে যায়। ফল সড়কটি যানজট ঝুকিপুর্ন হয়ে পড়েছে। বিগত ২০২৩ সালে ৬৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে উলিপুর বাইপাস সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। নির্মাণ কাজ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ করতে হবে। গত ০৩/১২/২৩ ইং বাইপাস সড়ক নির্মাণের জন্য কুড়িগ্রাম সড়ক বিভাগ ও জেলা রাজস্ব বিভাগ যথাযথভাবে জরিপ করে সড়কের নকশা অনুমোদন, জমি অধিগ্রহন ও টেন্ডার দেয়ার প্রস্তুতি গ্রহন করে। কুড়িগ্রাম সড়ক বিভাগের নকশা কারক রনি আহাম্মেদ, তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার, সহকর্মী আব্দুর রাজ্জাক, আসাদুল্যা আল ডালিম ও স্বজন দেলওয়ার হাসান মিলে বাইপাস সড়কের হায়াৎখাঁ, নারিকলবাড়ী ও রামদাস ধনিরাম ৩ মৌজার সড়কের জমি কিনে রাতারাতি যেনতেন ভাবে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ৩ তলা বিশিষ্ট ৩টি ভবন নির্মাণ করেন। এ বিষয় স্থানীয়রা অভিযাগ করলে জমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া থেমে যায়। সড়ক বিভাগ ওই কর্মচারীদর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না করে ০৬/১২/২৩ ইং ওই ভবন গুলো বাদ দিয়ে নকশা পরিবর্তন করে জেলা প্রশাসনক জমি অধিগ্রহনর সংশাধনী প্রস্তাব দেন। জেলা প্রশাসক সহকারী কমিশনার (ভূমি) উলিপুরকে মতামতসহ প্রতিবেদন দিতে বলেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) উলিপুর ০৬/০৪/২৪ ইং মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর জমি অধিগ্রহনর কার্যক্রম আটক আছে। জমি অধিগ্রহন না হওয়ায় বাইপাস সড়ক নির্মাণের টেন্ডার করেত পারছেন না। এদিকে বাইপাস সড়ক নির্মাণের মেয়াদকাল শেষ হয়ে আসছে। ফলে সড়ক নির্মাণ নিয়ে আশংকা দেখা দিয়েছে। ফেরত যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বরাদ্দকৃত টাকা।
অন্যদিক ২০২৫ সালের মার্চ মাসে হরিপুর তিস্তা সেতু চলাচলর জন্য ছেড়ে দেয়া হবে। সেতুটি চালু হলে যানজট বেড়ে যাবে।
জেলা ভূমি অধিগ্রহন শাখা জানায়, জমি অধিগ্রহনের পুর্বে জমির মালিকদের ৭ ধারা, ৪ ধারা নোটিশ করে তা নিস্পতি ও জমির মুল্য সংগ্রহ করার পর জমি অধিগ্রহন শুরু করা হবে।
কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নকশাকারক রনি আহাম্মদ বলন, আমার ও আমার স্ত্রীর নামে ২ শতক জমি কিনে ছিলাম। পরে ভবন মালিকদর কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। বিন্ডিং গুলো কিভাবে হয়েছে তা আমার জানা নেই।
স্থানীয়, মজিবর রহমান বলেন, জমি কিনে ওই বছর রাতারাতি বিল্ডিং গুলো নির্মাণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগর প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলন, জমির নতুন মুল্য নিধার্রন করে জমি অধিগ্রহন করতে বিলম্ব হচ্ছে। জমি অধিগ্রহন না হওয়ায় টেন্ডার করতে দেরি হচ্ছে। সংশোধিত প্রস্তাব নতুন ভবন গুলো বাদ দেয়া হয়েছে। তাদর বিরুদ্ধ কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা জানত চাইল এর কোন উত্তর দেননি তিনি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বি. এম কুদরত-এ-খুদা বলেন, সড়ক নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহনর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ##