সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন
শুভেচ্ছা বার্তা:
আলোকিত রাজারহাট একটি বহুল প্রচারিত প্রিন্ট পত্রিকা। এটি নিয়মিত প্রকাশ হয়ে আসছে। পত্রিকাটির পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা। আলোকিত রাজারহাট এর ওয়েবসাইট কয়েকদিনের মধ্যে আপনাদের মাঝে উন্মুক্ত হবে। আপনি গর্বিত সাইটটির সঙ্গে থেকে নিয়মিত খবর দেখুন ও পড়ুন। আমরা আপনার সঙ্গেই আছি। ধন্যবাদ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবী সমিতি ও নাগরিক কমিটির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

রিপোর্টারের নাম / ২৮ টাইম ভিউ
Update : মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

সংবাদদাতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতার ওপর হামলার ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সকালে জেলা আইনজীবী সমিতি সংবাদ সম্মেলন করার পর দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করে জাতীয়

গত রবিবার আইনজীবী ও তাদের সহযোগিদের পরিকল্পিত হামলার শিকার হন বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ। আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সালিশ সভায় বাদী-বিবাদী পক্ষের মধ্যে হওয়া মারামারির সময় জাতীয় কমিটির এক নেতা আহত হন।

আইনজীবী সমিতি ভবনে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ইউনুছ সরকার জানান, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠত মো. আতাউল্লাহ ক্ষমতার অপব্যবহার করে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেনের ঘনিষ্টজন আসাদুজ্জামান খোকনকে সোমবার জামিন করান। চট্টগ্রাম আদালতে দায়ের হওয়া মামলার উপনথি ব্রাহ্মণবাড়িয়া এনে বিচারককে চাপ প্রয়োগ করে জামিন করিয়েছেন, যা নজিরবিহীন ঘটনা। এরপর কসবার একটি পারিবারিক সালিশ করার জন্য বাদী পক্ষের হয়ে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুলের কক্ষে যান। সেখানে সালিশ হওয়া না হওয়া নিয়ে বাদী ও বিবাদী পক্ষের মধ্যে হওয়া মারামারিতে টেবিলের গ্লাসে লেগে পড়ে গিয়ে একজন আহত হন। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুকে লাইভ করে অপপ্রচার চালানো শুরু হয়। পরে তাদের পক্ষ নিয়ে কয়েকজন এসে মফিজুর রহমান বাবুলের কক্ষে ভাঙচুর চালায়। তবে মফিজুর রহমান বাবুল কোনো পক্ষেরই আইনজীবী নন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে পৌর এলাকার কাউতলীর সড়ক ভবনের সামনে থেকে জাতীয় নাগরিক কমিটির একটি বিক্ষোভ মিছিল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শেষ হয়। সেখানে তারা মফিজুর রহমান বাবুলকে জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক উল্লেখ করে তাকে গ্রেপ্তারে শ্লোগান দিতে থাকে। পুলিশ তাদেরকে সেখানে আটকে দেয়। এক পর্যায়ে মিছিল নিয়ে ফেরার পথে সার্কিট হাউজের ভেতরের রাস্তা দিয়ে তারা আবার আদালত প্রাঙ্গনে প্রবেশের চেষ্টা করে। এখানেও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে তারা অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে। মফিজুর রহমান বাবুলকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। সোমবার সন্ধ্যায় প্রেস ক্লাবে করা সংবাদ সম্মেলন করে মো. আতাউল্লাহ এ বিষয়ে দেওয়া পুলিশ সুপারের বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান। তিনি দাবি করেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার যে কথা বলছেন সেটা মিথ্যা। কোনো আত্মীয়ের কাজে আদালতে তিনি আসেননি।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, আদালত এলাকায় এমনিতেই পুলিশ থাকে। এখানে বিক্ষোভ কিংবা অন্য কিছু করার সুযোগ নেই। বিক্ষোভকারীদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সার্বিক পরিস্থিতিতে পুলিশ সতর্ক আছে। মারামারির ঘটনায় অভিযোগ দিলে সে বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর