রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ট্রেনে ঢাকা যাতায়াত জম্মু ও কাশ্মীরের নওগাম থানায় জব্দ বিস্ফোরক পরীক্ষা করতে গিয়ে বিস্ফোরণে কমপক্ষে নিহত ৯ বাংলাদেশে তীব্র হচ্ছে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানির শঙ্কা ‘কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা না করলে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’ শ্রীবরদীতে প্রজন্ম বাতিঘর গ্রন্থাগার উদ্বোধন ফেনীতে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা শিক্ষকদের ভূমিকা শীর্ষক সভা ফুলবাড়ীতে দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ফেনীতে টাইফয়েড টিকা পেলো ৪ লাখ ২২ হাজার শিশু পঞ্চগড়-২ আসনে এনসিপির মনোনয়ন ফরম কিনলেন শিশির আসাদ কুড়িগ্রাম ১ আসনে ডাঃ ইউনুছ আলী’র মনোনয়নের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

সীমান্ত বিরোধ: আলোচনায় বসছে চীন-ভারত

প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ দীর্ঘদিনের। বারবার এ নিয়ে বৈঠকে বসেও কোনো সমাধানে আসতে পারে নি কোনও দেশই। এবার প্রায় দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবারও আলোচনায় বসছে বিশ্বের পরাশক্তি দুটি।

চীনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠেয় বিশেষ প্রতিনিধি (এসআর) সংলাপে অংশ নিচ্ছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) শান্তি ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।-খবর তোলপাড়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামীকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এই বিশেষ প্রতিনিধি সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।

সর্বশেষ, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শেষবারের মতো সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনা করেছিলেন দোভাল এবং ওয়াং। এর পরবর্তী সব বৈঠক ছিল বহুপক্ষীয় ইস্যু নিয়ে। তবে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এই দুই রাষ্ট্রপ্রধান সরাসরি সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে অগ্রগতির চেষ্টা করবেন।

গত অক্টোবরে ব্রিকস সম্মেলনে দোভাল এবং ওয়াং পূর্ব লাদাখের ডেমচক ও দেপসাং বুলজ এলাকায় সেনা সরানোর বিষয়ে একমত হন। এর ফলে উভয় পক্ষ সীমান্তে তাদের নিয়মিত টহল আবার শুরু করতে পেরেছে।

পূর্ব লাদাখে ২০২০ সালের মে মাসে সংঘাতের পর থেকে দুই দেশই কারাকোরাম পাস থেকে কিবুথু পর্যন্ত সেনা মোতায়েন করে রেখেছিল। তবে বর্তমানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।

দোভাল এবং ওয়াং বৈঠকে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন। পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহার ও বিতর্কিত এলাকাগুলোতে পুনর্বাসনের বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।

সরকারি কোনো বক্তব্য না এলেও, বৈঠকের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হবে পূর্ব লাদাখে ইতিবাচক অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে উভয় পক্ষের সেনা সরানোর বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

সম্প্রতি, ভারত ও চীনের সেনারা পূর্ব লাদাখের ডেমচক এবং দেপসাং এলাকায় প্রতি সপ্তাহে পালা করে টহল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। নভেম্বরে প্রথম পর্যায়ের টহল সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, উভয় পক্ষ পর্যায়ক্রমে প্রতি সপ্তাহে একবার টহল দেয়। এটি সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে এবং আস্থা অর্জনে করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, স্থানীয় বাসিন্দাদের পশুপালন ও চারণ অধিকার নিয়ে সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।

বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, দোভাল–ওয়াং বৈঠক সীমান্ত বিরোধ সমাধানের একটি রূপরেখা তৈরি হতে পারে। তবে, গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ থাকবে দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া বজায় রাখা এবং পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কার্যক্রমে গতি আনা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর