‘শাটডাউন’ ঠেকাতে শেষমেশ বিল পাস করল যুক্তরাষ্ট্র
কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া বা ‘শাটডাউন’ এড়াতে বিল পাস করেছে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত মার্কিন সিনেট। গতকাল স্থানীয় সময় মধ্যরাতের সময়সীমা অতিক্রম করার কিছুক্ষণ আগেই বাজেট চুক্তিটি পাস হয়। এর কয়েকঘণ্টা আগে বিলটি পাস করেছিল কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদও। এর ফলে ২০১৯ সালের পর প্রথমবার মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকার শাটডাউন এড়াবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।-খবর তোলপাড়।
নতুন বিলটি প্রতিনিধি পরিষদে ব্যাপক সমর্থনে পাস হয়। এর পক্ষে ভোট পড়ে ৩৬৬টি আর বিপক্ষে ৩৪টি। সিনেটে এটি পাস হয় ৮৫-১১ ভোটে। তবে চুক্তিতে প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্পের সেই দাবি অন্তর্ভুক্ত নেই, যেখানে তিনি আইনপ্রণেতাদের ফেডারেল সরকারের ঋণের সীমা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। এটি তার নিজের দলের আইনপ্রণেতাদের নির্দেশনা দেওয়ার ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে।
ফলে আগামী মধ্য-মার্চ পর্যন্ত মার্কিন ফেডারেল সংস্থাগুলোর তহবিলের জোগান অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা তৈরি হলো। তবে বিলটি আইনে পরিণত করতে হলে এতে সিডেন্ট বাইডেনের সই দরকার হবে। হাউজ স্পিকার মাইক জনসন জোর দিয়েছিলেন যে কংগ্রেস ‘আমাদের দায়িত্ব পালন করবে’ এবং ক্রিসমাস ছুটির আগে ফেডারেল কার্যক্রম বন্ধ হতে দেবে না।
বিলটি অনুমোদিত না হলে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর নির্ভরশীল নানা কর্মসূচি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতো। সরকারের বিভিন্ন বিভাগে সৃষ্টি হবে অচলাবস্থা। ব্যাহত হবে বিমানবন্দরের কার্যক্রম। সেক্ষেত্রে আসন্ন ক্রিসমাসের ভ্রমণ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে। শাটডাউনের আওতায় মূলত অত্যাবশ্যক নয়, এমন সরকারি কার্যক্রম বন্ধ হতে শুরু করতো, ৮ লাখ ৭৫ হাজার পর্যন্ত কর্মী ছাঁটাইয়ের শিকার হতো এবং আরও ১৪ লাখ কর্মীকে বিনা বেতনে কাজ করতে হতো।
কংগ্রেসে পাস হওয়া বিলটি এই সপ্তাহে আইনপ্রণেতাদের ভোট দেওয়া তৃতীয় বিল। এর আগে কংগ্রেস সদস্যরা দুটি খসড়া প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।