গরু আত্মসাতের অভিযোগ বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডারের বিরুদ্ধে

সংবাদদাতা, রৌমারী (কুড়িগ্রাম):
রৌমারীতে জামালপুর-৩৫ বিজিবি দাঁতভাঙ্গা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. কায়সার আমিরের বিরুদ্ধে ভারতীয় গরু আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ঘটনাটি অস্বীকার করেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রমের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের দাঁতভাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পে।
স্থানীয়, বিজিবি ও কাস্টম অফিস সুত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে চর ঘয়টাপাড়া সীমান্তের ১০৫৩ মেইন পিলারের কাছাকাছি এক বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রকাশে দিবা লোকে ৯টি গরু আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন বিজিবি। পরে ক্যাম্প কমান্ডারের পছন্দমত একটি বড় গরু বিজিবিতে রেখে বাকি ৮ টি গরু চালানের মাধ্যমে রৌমারী কাস্টম অফিসে জমা দেন।
এ ব্যাপারে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, বিজিবি সকালে আমাকে জানান এক বসতবাড়িতে ভারতীয় গরু রয়েছে, তাই আসতে হবে। পরে ওই বসতবাড়িতে গিয়ে আমিসহ আরো দুই মেম্বারের উপস্থিতিতে ভারতীয় ৯টি গরু আটক করেন ক্যাম্প বিজিবি।
বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডারের এহেন কর্মকান্ডে স্থানীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তবে রৌমারী শুল্ক গুদাম কর্মকর্তা মো. গোলাম হোসেন বলেন, বিজিবি ৮টি গরু কাস্টমসে জামা দিয়েছে। পরে গরু গুলো নিলামের জন্য সরকারী মূল্য ৪লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।
ভারতীয় ৯টি গরু আটক করলেও ৮টি গরু কাস্টমসে জমা দেয়ার বিষয় জানতে চাইলে দাঁতভাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমোতিক্রমে শত করা দশ ভাগ সোর্স মানি ও অফিসের খরচ হিসাবে এ গরুটি রাখা হয়েছে।
জামালপুর ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারি পরিচালক (এডি) মো. শামছুল হক বলেন, ওই সীমান্ত থেকে ৮টি গরু বিজিবি কর্তৃক আটকের তথ্য পেয়েছি। গরুগুলোর সিজার মূল্য ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আটক আরো ১ টি গরু প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তা আমার জানা নাই। তবে আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।