সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
শুভেচ্ছা বার্তা:
আলোকিত রাজারহাট একটি বহুল প্রচারিত প্রিন্ট পত্রিকা। এটি নিয়মিত প্রকাশ হয়ে আসছে। পত্রিকাটির পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা। আলোকিত রাজারহাট এর ওয়েবসাইট কয়েকদিনের মধ্যে আপনাদের মাঝে উন্মুক্ত হবে। আপনি গর্বিত সাইটটির সঙ্গে থেকে নিয়মিত খবর দেখুন ও পড়ুন। আমরা আপনার সঙ্গেই আছি। ধন্যবাদ।

ক্ষমা চাইল পুতিন

রিপোর্টারের নাম / ৩০ টাইম ভিউ
Update : শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

রাশিয়ার আকাশসীমায় আজারবাইজানের একটি যাত্রীবাহী প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে ৩৮ জন নিহতের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তিনি সরাসরি রাশিয়াকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করেননি।-খবর তোলপাড়।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাওয়ার খবরটি প্রকাশ করে।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বড়দিনে সংঘটিত এ দুর্ঘটনা নিয়ে প্রথমবার মন্তব্য করতে গিয়ে পুতিন বলেন, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনীয় ড্রোন প্রতিহত করার সময় এ দুঃখজনক ঘটনা ঘটে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, চেচনিয়ার গ্রোজনি বিমানবন্দরে অবতরণ করার চেষ্টা করছিল আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমানটি। এ সময় রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গুলিতে প্লেনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে সেটি দিক পরিবর্তন করে কাস্পিয়ান সাগর পেরিয়ে কাজাখস্তানের আক্তাউ শহরের কাছে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করে। কিন্তু সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় প্লেনটির ৬৭ আরোহীর মধ্যে ৩৮ জন নিহত হন।

পুতিনের বক্তব্য: শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ক্রেমলিন থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট পুতিন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার আকাশে ঘটে যাওয়া এই দুঃখজনক ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারগুলোর প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

রাশিয়ার দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন: রাশিয়ার বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার দিন চেচনিয়ার আকাশে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার কারণে পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল ছিল। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, বৈদ্যুতিক জ্যামিংয়ের কারণে প্লেনটির জিপিএস সিস্টেম কাজ না করায় এটি রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আক্রমণের শিকার হয়।

বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার আগেই তারা জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছিলেন। এতে ধারণা করা হচ্ছে, প্লেনটিকে সরাসরি লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছিল।

আজারবাইজানের প্রতিক্রিয়া: আজারবাইজান সরকার এখন পর্যন্ত রাশিয়াকে সরাসরি দায়ী করেনি। তবে দেশটির পরিবহনমন্ত্রী বলেছেন, প্লেনটি বহিরাগত হস্তক্ষেপের শিকার হয়েছে।

তদন্ত চলছে: রাশিয়ার পক্ষ থেকে দুর্ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। একইভাবে আজারবাইজানও তাদের নিজস্ব তদন্ত শুরু করেছে।

এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে রাশিয়ার দায়িত্ব রয়েছে বলে তারা বিশ্বাস করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর