আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা ডিসেম্বরে
চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসির মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত হবে। আর আগামী বছরের ডিসেম্বরে এসএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দশম শ্রেণির সিলেবাসের ওপর হবে এই মূল্যায়ন। সাতটি পর্যায়ে এই মূল্যায়ন হবে। মূল্যায়নের পুরো প্রক্রিয়া সমন্বয় করবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
মাধ্যমিকের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান চলছে। কিন্তু এখনও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত হয়নি। তবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এসএসসির মূল্যায়ন হবে ৬৫ ভাগ লিখিত ও ৩৫ ভাগ দক্ষতা ভিত্তিক। প্রতি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে ৫ ঘণ্টা করে। এর মধ্যে দুই ঘণ্টা হবে লিখিত মূল্যায়ন। বাকি ৩ ঘণ্টায় লিখতে হবে সারা বছর যে দক্ষতাভিত্তিক কাজগুলো করেছে শিক্ষার্থীরা। আর বছরব্যাপী যে ব্যবহারিক কাজ করবে সেগুলোর কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে করে দেখাতে হবে।-খবর তোলপাড় ।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মূল্যায়ন নির্দেশনাটি আবার এনসিসি কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। এনসিসিকে সভা আহ্বানের জন্য এই চিঠি দেয়া হয়েছে এবং মূল্যায়ন নির্দেশনা যেটি ঠিক করেছি সেটি আরও ফাইন টিউনিংয়ের জন্য আগামী ২৭ তারিখ কর্মশালার আয়োজন করেছি।’
পুরো মূল্যায়ন হবে বোর্ডের তত্ত্বাবধানে। কোনো নম্বর থাকবে না, মূল্যায়ন হবে ৭টি পর্যায়ে। শিক্ষা বোর্ড বলছে, ৩১ মে এর মধ্যে মূল্যায়নের রূপরেখা এনসিটিবি থেকে দেয়া হবে। এরপর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং মূল্যায়নের জন্য নৈপুণ্য অ্যাপস প্রস্তুত হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শুরুতেই আমাদের সেটার মডারেটরদের প্রশিক্ষণের বিষয় থাকবে, তারপরে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ থাকবে এবং যে কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে সেই কেন্দ্রের সচিব এবং যারা ইনভিজিলেশন দেবে তাদের জন্যও আমাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।’