বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শ্রীবরদীতে বিশ্ব হাত ধোওয়া দিবস পালিত নড়াইলের প্রভাবশালী হিন্দু জমিদারীর প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কালিশঙ্কর রায় পীরগঞ্জে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত পীরগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত ঢাকায় আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ রাজারহাটে ফ্রিজের পঁচা-বাসী মাংস বিক্রি করার সময় হাতে নাতে আটক কসাই, ৩ হাজার টাকা জরিমানা কুড়িগ্রামে ভ্যান ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু চোরদের আটক করে আনতে গিয়ে পুলিশের গাড়ির চাবি চুরি ! রাজারহাটে ২ শতাধিক প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজ ও কিটনাশক বিতরণ গাজায় যুদ্ধবিরতি: কারাবন্দি ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল
শারদীয় শুভেচ্ছা:
দেশ-বিদেশের সকল ধর্মাবল্মীদেরকে শরতের শারদীয় শুভেচ্ছা।- প্রধান সম্পাদিকা দিপালী রানী রায়। সকল গ্লানি মুছে যাক, জাগ্রত হোক বিবেক, পাঠক ও শুভাকাঙ্খীসহ দেশ-বিদেশের সকলকে শরতের শারদীয় শুভেচ্ছা- প্রকাশক ও সম্পাদক প্রহলাদ মন্ডল সৈকত।

২ বস্তা টাকা সিরাজগঞ্জের ভিক্ষুকের ঘরে !

রিপোর্টারের নাম / ৩২ টাইম ভিউ
Update : বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫

Spread the love

সংবাদদাতা,সিরাজগঞ্জ:

বয়স প্রায় ৬০ ছুঁই ছুঁই। জীবনটা কেটেছে পথে পথে ভিক্ষা করে। কিন্তু সালেয়া বেগম কখনো নিজের জন্য কিছু করেননি। অসুস্থ হলেও চিকিৎসা নেননি, নতুন কাপড় কেনেননি। বরং ভিক্ষা করে পাওয়া টাকা-পয়সা ধীরে ধীরে জমিয়েছেন। চার দশকের বেশি সময় ধরে ভিক্ষা করে জমানো সেই টাকা দুই বস্তা ভরে গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পাইওনিয়ার কেজি অ্যান্ড হাইস্কুল মাঠের পেছনে হঠাৎ হইচই। খবর ছড়িয়ে পড়ে, ভিক্ষুক সালেয়া বেগমের ঘরে পাওয়া গেছে দুই বস্তা টাকা। মুহূর্তেই সেখানে কৌতূহলী জনতার ভিড় জমে যায়। জনসমক্ষে বসে স্থানীয় কিছু লোক নগদ টাকা আর পয়সাগুলো গুনতে শুরু করেন।

সালেয়া বেগম থাকেন সিরাজগঞ্জ কওমি জুট মিলের এক কোণের বারান্দায়। স্বামী অনেক দিন আগে মারা গেছেন। একমাত্র মেয়ে শাপলা খাতুনের বিয়ে হয়ে গেছে। মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও সালেয়ার কাছে দুই বস্তা টাকা জমেছে—এটা কল্পনাও করতে পারেননি মেয়ে।

শাপলা খাতুন বলেন, ‘মা একা থাকতে চাইতেন। আমরা জানতামই না এত টাকা জমিয়েছেন তিনি। এখন মা অসুস্থ। এই টাকা দিয়ে চিকিৎসাই করানো হবে।’

স্থানীয় যুবক মোহাম্মদ শুভ বলছিলেন, ‘হঠাৎ দেখি রিকশায় করে বস্তা আনা হচ্ছে। পরে বুঝলাম, টাকায় ভর্তি। সালেয়া বেগম প্রায় ৪০ বছর ধরে ভিক্ষা করেন। আমরা জানতামই না তাঁর কাছে এত টাকা আছে। মনে হয়, দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মতো হবে।’

মো. রাশেদুল ইসলাম আলম নামে এক এলাকাবাসী বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই সালেয়া অসুস্থ। তাঁর কাছে কিছু টাকা আছে জেনেছিলাম, কিন্তু এতটা আছে ভাবিনি। এক টাকা, দুই টাকা, পাঁচ টাকা, দশ টাকা ও বিশ টাকার নোট পাওয়া গেছে। অনেক নোট তো নষ্ট হয়ে গেছে।’

ভিক্ষায় পাওয়া প্রতিটি টাকাই নিজের কাছে আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন সালেয়া বেগম। কারও কাছে বিশ্বাস করে টাকা রাখেননি, ভরসা করেননি। হয়তো মনে করেছিলেন, একদিন এই টাকাই তাঁর আশ্রয় হবে। এলাকাবাসী দুই বস্তা টাকা দিয়ে এখন সালেয়ার চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাবেক কাউন্সিলর মো. শিপু জানান, সালেয়া বেগম এক জীবনে একটুও অপচয় করেননি। একসময়কার ভিক্ষার টাকাই জমে দাঁড়িয়েছে দুই বস্তায়। এখন এলাকাবাসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেই টাকা খরচ হবে তাঁর চিকিৎসায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর