ফুলবাড়ীতে বয়লার সেটিংয়ের কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, গোপনে মরদেহ নিয়ে উধাও
এমদাদুল হক মিলন, ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে জোবেদ এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের বয়লার সেটিংয়ের কাজ করতে গিয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে । মঙ্গলবার বিকাল উপজেলার জোবেদা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ফুলবাড়ীস্থ জোবেদ এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডে ৭ দিন পূর্বে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলা সাহেবপাড়া গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৩৫) কে ওই ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডে বয়লার সেটিং মিস্ত্রি হিসেবে কাজে নিয়ে আসে রংপুর জেলার মীরবাগের আশিক ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের স্বত্বাধিকারী মুন্না মিয়ার ছেলে ওয়াসিম মিয়া। প্রতিনিদিনের ন্যায় শ্রমিক মোহাম্মদ আলী বয়লার সেটিংয়ের কাজের জন্য দুপুর আড়াইটার দিকে উপরে উঠেন। কাজ করার সময় এক পর্যায়ে বিকাল ৩ টার দিকে সেখান থেকে পড়ে গিয়ে মারাত্বক আহত হন। পরে সেখানকার লোকজন দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেছেন।
এ দিকে হাসপাতালের রেজিস্টারে মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশ কেস উল্লেখ করা হলেও গোপনে লাশের সঙ্গে ওয়াশিম, তামীম, হীরাসহ বেশ কিছু লোকজন নিহত শ্রমিকের মরদেহ গ্রহণ করে গোপনে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে না জানিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ান দেয়।
জোবেদ এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের গেট ম্যান মিজানুর রহমান জানান, আহত শ্রমিকের মুখ দিয়ে প্রচুর রক্ত আসছিল। আমরা দ্রুত অটোরিকশা যোগাযোগ ফুলবাড়ী হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।
জোবেদ এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের মালিক আলহাজ্ব মোঃ ওয়াহেদ আলী জানান, আমি অফিসে ছিলাম না। বিষয়টি জানা মাত্র এসে দেখি নিহত শ্রমিকের মরদেহ নেই।
রংপুর মীরবাগের আশিক ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সত্তাধিকারী মুন্না মিয়ার ছেলে ওয়াসিম মিয়ার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, পুলিশকে না জানিয়ে আমরা হাসপাতাল থেকে নিহত শ্রমিকের মরদেহ নিয়ে রহনা হয়েছি।
ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: বায়েজিদ হাসান জানান, নিহত শ্রমিকের মাথায় প্রচন্ড রক্ত রক্তপাত হওয়ার কারণে হাসপাতালে আসার আগেই আর মৃত্যু হয়েছে।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নাজমুস সাকিব সজিব জানান, শ্রমিকের মৃত্যু বিষয়টি কোন পক্ষই পুলিশকে জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেকে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।