রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন
শুভেচ্ছা বার্তা:
আলোকিত রাজারহাট একটি বহুল প্রচারিত প্রিন্ট পত্রিকা। এটি নিয়মিত প্রকাশ হয়ে আসছে। পত্রিকাটির পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা। আলোকিত রাজারহাট এর ওয়েবসাইট কয়েকদিনের মধ্যে আপনাদের মাঝে উন্মুক্ত হবে। আপনি গর্বিত সাইটটির সঙ্গে থেকে নিয়মিত খবর দেখুন ও পড়ুন। আমরা আপনার সঙ্গেই আছি। ধন্যবাদ।

বগুড়ায় ফেলে যাওয়া ১৮ ভরি স্বর্ণালংকার ফিরিয়ে দিলেন কলেজছাত্র

রিপোর্টারের নাম / ৫৮ টাইম ভিউ
Update : রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫

সংবাদদাতা, বগুড়া:

বগুড়ায় সিএনজি চালিত অটোরিকশায় পাওয়া স্বর্ণালংকার ও টাকা ফিরিয়ে দিলেন কলেজছাত্র খাইরুল ইসলাম৷ শুক্রবার (০৪ এপ্রিল) রাতে বগুড়া সদর থানায় স্বর্ণালংকার ও টাকা মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। খায়রুল ইসলাম বগুড়া সরকারি শাহসুলতান কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

সংসারের অভাব মেটাতে তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি অটোরিকশা চালান। সেই অটোরিকশায় ফেলে যাওয়া ১৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এই তরুণ।

পাবনার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী শাহিন হোসেন বলেন, তিনি গত ২৯ মার্চ ব্যবসার কাজে বগুড়ায় আসেন। এখান থেকে কেনা অলংকার ও নগদ টাকা একটি কালো ব্যাগে ভরে বিকেলে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে শহরের সাতমাথা থেকে অটোরিকশায় ওঠেন। পরে বনানী এলাকায় পৌঁছে নগরবাড়ীগামী বাস দেখে দ্রুত রিকশা থেকে নেমে বাসে উঠে যান। বাসটি শাজাহানপুর এলাকায় পৌঁছালে তিনি বুঝতে পারেন কালো ব্যাগটি তার হাতে নেই।

এদিকে অটোরিকশারচালক খায়রুল ইফতার করতে শহরতলির বেতগাড়ী এলাকার বাড়িতে চলে যান। ইফতারের পর তিনি দেখেন রিকশার আসনের পেছনে একটি কালো ব্যাগ পড়ে আছে। পরে ব্যাগ খুলে ভেতরে কিছু কাপড়ের নিচে গয়না ও নগদ টাকা দেখতে পান। এতে তিনি অবাক হয়ে ব্যাগে আর তল্লাশি চালাতে সাহস করেননি।

পরে এ নিয়ে খাইরুল তার মায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে নিজেই কয়েক দিন ধরে মালিকের খোঁজ করতে থাকেন। শেষে না পেয়ে শুক্রবার বিকেলে পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ ব্যাগ তল্লাশি করে একটি কাগজে লেখা ফোন নম্বরের সূত্র ধরে মালিক শাহিনকে সংবাদ দেন। সংবাদ পেয়ে রাতে শাহিন বগুড়া সদর থানায় আসেন। পরে কেনার রসিদ যাচাই বাছাই করে তাকে গয়না ও টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

স্বর্ণের গয়নাসহ ব্যাগ ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত শাহিন বলেন, ‘আমি স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী ছিলাম। গ্রাহকদের বিশ্বস্ততায় এবং তাদের সহযোগিতায় কিছুদিন আগে গোপালনগর বাজারে নিজেই দোকান দিই। বিভিন্ন গ্রাহকের অর্ডার নিয়ে বগুড়া থেকে স্বর্ণ কিনে গয়না তৈরি করে সরবরাহ করে থাকি। ব্যাগ হারিয়ে ভেবেছিলাম সব হারিয়ে ফেলেছি। ব্যাগে ২৬ লাখ টাকার গয়না ছিল। ব্যাগ ফিরে না পেলে আমি নিঃস্ব হয়ে যেতাম। অটোরিকশার চালক খায়রুলের সততা আমাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, ‘খায়রুলের মতো শিক্ষার্থীরা সমাজের জন্য আশার আলো। সে শুধু সৎ নয়, দায়িত্বশীল ও মানবিকও। ’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর