সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:০৮ অপরাহ্ন
আগামী ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ভর্তি পরীক্ষা গ্হণের জন্য ন্যাশনাল টেস্টিং অথোরিটি (এনটিএ) গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।
একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে এখন থেকেই সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। একক ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে শিগগির একটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও তিনি জানান।-খবর তোলপাড় ।
বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন বিষয়ক এক নীতি-নির্ধারণী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সোমবার বিকেলে ইউজিসিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু ইউসুফ মিয়া এবং ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববদ্যিালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাবিবুর রহমান সভায় অংশগ্রহণ করেন এবং একক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠান বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
সভায় শিক্ষামন্ত্রী জানান, একক ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এইচএসসি পরীক্ষার পরে একক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সূচি প্রকাশ করা হবে এবং উচ্চশিক্ষার সবক্ষেত্রে একই সময়ে ক্লাস শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
একক ভর্তি পরীক্ষার মান বজায় রাখা প্রসঙ্গে ড. দীপু মনি বলেন, সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব পরীক্ষার ফলের মান নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন ওঠে না। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হলে এর মান নিয়ে কোন প্রশ্ন ওঠার সুযোগ থাকবে না বলে তিনি মনে করেন।