রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ট্রেনে ঢাকা যাতায়াত জম্মু ও কাশ্মীরের নওগাম থানায় জব্দ বিস্ফোরক পরীক্ষা করতে গিয়ে বিস্ফোরণে কমপক্ষে নিহত ৯ বাংলাদেশে তীব্র হচ্ছে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানির শঙ্কা ‘কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা না করলে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’ শ্রীবরদীতে প্রজন্ম বাতিঘর গ্রন্থাগার উদ্বোধন ফেনীতে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা শিক্ষকদের ভূমিকা শীর্ষক সভা ফুলবাড়ীতে দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ফেনীতে টাইফয়েড টিকা পেলো ৪ লাখ ২২ হাজার শিশু পঞ্চগড়-২ আসনে এনসিপির মনোনয়ন ফরম কিনলেন শিশির আসাদ কুড়িগ্রাম ১ আসনে ডাঃ ইউনুছ আলী’র মনোনয়নের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

কুড়িগ্রামে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

প্রকাশের সময়: শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪

আতাউর রহমান বিপ্লব, কুড়িগ্রাম:

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর কুড়িগ্রামে কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার ধরলা,তিস্তা,দুধকুমার,ব্রহ্মপুত্রসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় চর-দ্বীপচরগুলোর নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে চরম ভোগান্তিতে আছেন এসব বানভাসী মানুষেরা। গত ৪ দিন ধরে ধরলা ও তিস্তা বইছে বিপৎসীমার উপর দিয়ে। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও গঙ্গাধর নদে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তীব্র ভাঙনের কারণে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

শনিবার(২২জুন) সকালে  পাউবো’র দেয়া তথ্য বলছে,গত ১২ ঘন্টায় তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৪৪ সে.মি. ও ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ৭ সে.মি. বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও গঙ্গাধর নদে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ধরলা নদীর ভাঙনে রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কিং ছিনাই, জয়কুমার ও নামা জয়কুমার গ্রামের কমপক্ষে ১০টি পরিবার নদীভাঙনের শিকার হয়ে বাঁধের রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে জয়কুমার আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ কিং ছিনাই গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক পরিবার। একই উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালীরহাট ঘাট এলাকায় তিস্তার ভাঙণে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাজার ভাঙণের ঝুঁকিতে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে রৌমারী ফেরী ঘাট ও উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের চরবন্দবেড়, ফলুয়ারচর, পালেরচর, কুটিরচর, দক্ষিণ ফলুয়ারচর, পশ্চিম ফুলুয়ারচর, খনজনমারা, দক্ষিণ বাগুয়ারচর ও চর শৌলমারী ইউনিয়নের খেদাইমারী, ঘুঘুমারী, সুখেরবাতি, সোনাপুর, চর খেদাইমারী, শেখের বাজারসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার।

রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কিং ছিনাই এলাকার বাসিন্দা রাশিদুল হাসান জানান, গতকাল থেকে ধরলা নদীর পানি বেড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এক দিনের ব্যবধানে ধরলা পাড়ের প্রায় ১৫টি বাড়ি ভেঙে গেছে। এছাড়াও নামা জয়কুমার, জয়কুমার ও কিং ছিনাই গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার ও বন্যা আশ্রয়ন প্রকল্পের বিল্ডিংসহ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙন রোধে এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, এই মুহুর্তে জেলায় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন তীব্র আকারে দেখা দিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তায় ভাঙ্গর রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন কাজ করছে। শুক্রবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জেলার ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে এসেছেন। তিনি রৌমারী ও ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করবেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ  বলেন, কুড়িগ্রামে উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার্তদের উদ্ধারের জন্য চারটি স্প্রিড বোড প্রস্তুত করে রয়েছে। বন্যার্তদের জন্য নগদ ১২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, ২৫১ মেট্রিক টন চাল প্রস্তুত রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর