বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন
দীর্ঘ ২৪ বছর পর বার্সা টিভির পথচলা শেষ হচ্ছে খুব শিগগিরই। আর্থিক সংকট কাটাতে এবার কাতালান ক্লাবটি বন্ধ করতে যাচ্ছে নিজেদের টেলিভিশন চ্যানেল বার্সা টিভি। আয় ব্যয়ের সমন্বয় করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এমনটি জানিয়েছে ক্রীড়াবিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট মার্কা।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) প্রকাশিত মার্কার এক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, দীর্ঘ বৈঠক শেষে বার্সা কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বার্সা টিভি বন্ধের ঘোষণা দেয়। আগামী ৩০ জুন শেষবারের মতো সম্প্রচারিত হবে বার্সা টিভির অনুষ্ঠান।-খবর তোলপাড় ।
বার্সা টিভির সম্প্রচার স্বত্বের দায়িত্বে থাকা টেলিফোনিকার সঙ্গে চুক্তি শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। এর মধ্য দিয়ে ২৪ বছর পর বন্ধ হচ্ছে টেলিভিশনটির পথচলা। আর্থিক সংকটে পড়ায় বার্সেলোনা মূলত ব্যয় কমানোর জন্যই এমনটা করছে। এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, টিভির সঙ্গে চুক্তি না করায় বার্সেলোনার প্রায় ৮ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি ৯৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা) বেঁচে যাচ্ছে। বার্সা টিভি বন্ধ হওয়ায় চাকরি হারাতে পারেন প্রায় ১৩০ জন।
১৯৯৯ সালের ২৭ জুলাই বার্সা টিভির সম্প্রচার শুরু হয়েছিল। তখন লুইস নুনেজ ছিলেন বার্সেলোনার সভাপতি। তিনি মনে করেছিলেন, ক্লাবের জনপ্রিয়তা বাড়াতে একটি টিভি চ্যানেল খোলা দরকার। যার কারণেই সে বছর জুলাইয়ে বার্সা টিভি চালু করেছিলেন তিনি।
দর্শকদের সঙ্গে ক্লাবটির সরাসরি সংযোগের বড় এই মাধ্যমটি বন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ আর্থিক দুরবস্থা। এতটাই খারাপ অবস্থা যে, ২০২৩ এর শুরুর দিকে বার্সা টিভির প্রায় দেড় শতাধিক কর্মী বেতন-ভাতা ও উন্নত কর্ম পরিবেশের দাবিতে মানববন্ধন করেছিল। এখন পুরো টিভি স্টেশন বন্ধ হওয়াতে চাকরি হারাবেন এসব কর্মীরা।
এর আগে আর্থিক টানাপোড়েন থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পেতে কাতালান ক্লাবটি বার্সা টিভির প্রায় ২৪ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছিল। তাতে ২০ কোটি ইউরো পেয়েছিল তারা। সেই অর্থ দিয়ে রবার্ট লেভানডফস্কিসহ আরও খেলোয়াড় কিনেছে বার্সেলোনা। তবে টিভির সম্প্রচার বন্ধ হলেও তাদের প্রোডাকশন কোম্পানি বার্সা স্টুডিওসকে অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের জন্য কাজে লাগাবে।
অর্থ সংক্রান্ত জটিলতার ঘটনা বার্সেলোনার জন্য অবশ্য নতুন কিছু নয়। রেফারিকে ঘুষ দেয়ার ব্যাপারে ‘বিস্ফোরক প্রতিবেদন’ কয়েক মাস আগে প্রকাশ করেছিল স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম কাদেনা সার। লাপোর্তা যখন ২০০৩ থেকে ২০১০ পর্যন্ত প্রথম দফায় বার্সেলোনার সভাপতি ছিলেন, রেফারিদের টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি ছিলেন হোসে মারিয়া এনরিকুয়েজ নেগ্রেইরা। নেগ্রেইরা ১৯৯৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। নেগ্রেইরার বিরুদ্ধে ১৪ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৬ কোটি টাকা) ঘুষ দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল।