মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:২১ অপরাহ্ন

নোটিশ:
দৈনিক তোলপাড় পত্রিকা থেকে আপনাকে স্বাগতম। তোলপাড় পত্রিকা আপনার আমার সবার। আপনার এলাকার উন্নয়নের ভূমিকা হিসেবে পত্রিকাটির মাধ্যমে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি।  এ জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলা-বিভাগ-কলেজ ক্যাম্পাসসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সাংবাদিক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পত্রিকাটির পর্ষদ।  আগ্রহী হলে আপনিও এক কপি রঙিন ছবিসহ নিম্ন ঠিকানায় সিভি প্রেরণ করে নিয়োমিত সংবাদ পাঠাতে পারেন। সেই সাথে সারা বিশ্বে আপনার এলাকার প্রতিষ্ঠানের প্রচারেরর জন্য  ৫০% কমিশনে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।

ঘূর্ণিঝড় মোখা: বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে সেন্টমার্টিনে

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া মোখার কেন্দ্রে গতিবেগ বাড়ছে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। রবিবার (১৪ মে) সকাল থেকে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ কত কিলোমিটার পর্যন্ত উঠছে তা বলতে না পারলেও বর্তমান পরিস্থিতি ভাল নয় বলে জানিয়েছেন সেখানকার স্থানীয়রা। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৬ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হচ্ছে সেন্টমার্টিনের নিন্ম এলাকাগুলো। এর আগে সকাল থেকে দ্বীপটিতে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইতে দেখা গেছে প্রতিবেদকের হাতে আসা কয়েকটি ভিড়িওতে।-খবর তোলপাড় ।

রবিবার (১৪ মে) সকালে আব্দুল মালেক নামে একজন সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত ওয়াশরুল ও পানি না থাকার কারণে ঝুঁকি নিয়ে সকালে নিজ নিজ ঘরে ফিরে যাচ্ছে অনেকেই। জোয়ারের পানি প্রায় ৪/৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল থেকে সাগর প্রচন্ড উত্তাল। সাথে হালকা ও হঠাৎ হঠাৎ ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বাতাসের গতি উত্তর-পূর্ব দিক থেকে এসে মাঝেমাঝে দিক পরিবর্তন হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অনেকের মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে গেছে। মহাবিপদ সংকেত ১০ থেকে এখনও ১১তে রয়ে গেছে। সবার কথা একটাই মন থেকে আতঙ্ক দূর হচ্ছে না। তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

জানা গেছে, শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের আগে থেকে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপটি। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এই ঝড় নিয়ে উৎকণ্ঠার এক রাত পার করেছেন সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা। দ্বীপের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া লোকজন আতঙ্কে সময় পার করছেন। সেন্টমার্টিন হাসপাতালে আশ্রয় নেওয়া আলী আহমদ বলেন, দ্বীপের মানুষের ভাগ্যে কী আছে, আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারে না। শুধু আমি নই, আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা কেউ রাতে ঘুমাতে পারেননি। সবাই জেগে জেগে রাত পার করেছেন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান সকাল বলেন, মধ্যরাত থেকে হালকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সকালে দমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টিও বেড়েছে। তিনি জানান, সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানিও বেড়েছে।

এই ঝড়ের কারণে গতকাল শনিবার সেন্টমার্টিনের যেসব বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছিলেন, তারা এখনো সেখানে রয়েছেন বলে জানান চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

তিনি আরোও বলেন, দ্বীপের অধিকাংশ বাসিন্দাই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় অবস্থান নিয়েছেন। গতকাল বিকেল থেকেই বিভিন্ন এলাকার নারী-পুরুষ ও শিশুরা দল বেঁধে তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ৩৭টি হোটেল, রিসোর্ট ও বহুতল ভবনে আশ্রয় নিতে শুরু করেন। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিরা বিপদ থেকে মুক্তির জন্য সারা রাত দোয়া প্রার্থনা করেছেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

এরআগে শনিবার (১৩ মে) কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও আামেরিকার পূর্বাভাস মডেল দুইটি নির্দেশ করছে, মোখা স্থলভাগের প্রথম যে স্থানটিতে আঘাত করবে তা হলো সেন্ট মার্টিন।

তিনি ফেসবুকে আরেক স্ট্যাটাসে জানান, শুক্রবার রাত ১২টার থেকে ভোর ৪টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখার যাত্রা পথ আরো বাংলাদেশের দিকে সরে এসেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে ঘণ্টায় ১৮৫ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে, পুরো কক্সবাজার জেলার উপর দিয়ে রবিবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ৩টার মধ্যে অতিক্রম করার ‘আশঙ্কা’ ৯৯ শতাংশ। ঘূর্ণিঝড়টি আরো বেশি কাছা-কাছি চলে এসেছে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলের। নোয়াখালী ও ভোলা জেলার সকল চর অঞ্চলগুলো ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার ‘আশঙ্কা’ দেখা যাচ্ছে।

এদিকে, আবহাওয়ার ১৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে আজ রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় আতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রাভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ আছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। সেন্ট মার্টিন অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, যেহেতু এটা টেকনাফের দক্ষিণে পড়েছে। এদিক দিয়েই ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র অতিক্রম করবে। এ এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তাই সবচেয়ে বেশি। কক্সবাজার পুরো জেলাই আসলে ঝুঁকি বা ক্ষয়ক্ষতির আওতায় থাকবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

দৈনিক তোলপাড় এর পক্ষ থেকে সকল পাঠক লেখক সাংবাদিক ও শুভানুধায়ীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, পত্রিকাটি বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগ জেলা উপজেলা থানা কলেজ ক্যাম্পাস-এ এক ঝাঁক তরুন-তরুনী সাংবাদিক নিয়োগ করতে যাচ্ছে ।

আগ্রহীরা দ্রুত এক কপি ছবিসহ প্রধান সম্পাদক বরাবর আবেদন করুন.. আবেদন পাঠানোর ঠিকানা-dailytolpercv@gmail.com

এছাড়া বিশেষ ৫০% ছাড়ে সারাবিশ্বে প্রচারের জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। বিজ্ঞাপন পাঠানোর ঠিকানা-dailytolpernews@gmail.com যোগাযোগ করুন-+88 01915394614, +8801719026700


© All rights reserved © 2017 তোলপাড়
error: Content is protected !!