ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তদন্তে ফিফা, হতে পারে নিষিদ্ধও
ইসরায়েলি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে (আইএফএ) নিষিদ্ধ করাসহ দেশটির জাতীয় ফুটবল দল যেন ফিফার আয়োজিত কোনো খেলায় অংশ নিতে না পারে- এমন দাবি তুলেছিল ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ)।
পাশাপাশি আইএফএ ফিফার বৈষম্যবিরোধী নীতি লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি পিএফএর। ফিলিস্তিনের এই দাবির ফলে তদন্তে নামছে বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফা। খবর এপি/তোলপাড়।
ফিফার সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখে গতকাল ফিফা কাউন্সিলে বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ, সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিটি আইএফএর বিরুদ্ধে পিএফএর বৈষম্যবিরোধী নীতি ভাঙার অভিযোগ খতিয়ে দেখবে।
এ বিষয়ে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এক বিবৃতিতে বলেছেন, এমন স্পর্শকাতর ব্যাপারটি নিয়ে স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ মেনে কাজ করছে ফিফা কাউন্সিল। যা যা ঘটেছে সেসব ব্যাপারে আমরা খুবই মর্মাহত। ভুক্তভোগীদের সমবেদনা জানাচ্ছি।
সভার আগে জুরিখে এসেছিলেন ফিলিস্তিন সকার ফেডারেশনের নেতা জিব্রিল রাজৌব এবং সহ সভাপতি সুশান সাহাবি ফিফা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে ফিলিস্তিন সকার ফেডারেশনের নেতা জিব্রিল রাজৌব বলেন, আমার বিশ্বাস এবং আশা যে ফিফা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। কাউন্সিলকে আইন মেনে কাজ করার অনুরোধ।
জুরিখে গতকাল ফিফা কাউন্সিলের সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করে পিএফএ বলেছে, এটা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের পথে ইতিবাচক পদক্ষেপ। তদন্তের যে দাবি গতকাল তোলা হয়েছে সেটা কতদিন চলবে তা জানানো হয়নি। ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়নি।
পিএফএ এ বছরের মে মাসে দুটি দাবি তুলেছিল ব্যাংককে হওয়া ফিফা কংগ্রেসে। রাজৌব তখন বলেছিলেন, ইসরায়েলি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আইএফএ) ফিফার নিয়ম লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল। ফিফা এখানে উদাসীন থাকতে পারে না।
ফিফা থেকে ইসরাইলকে নিষিদ্ধ করার দাবিও তখন তোলা হয়েছিল। অভিযোগ ওঠার পর ফিফা প্রাথমিকভাবে স্বাধীন এক আইনি প্যানেলকে পুরো বিষয় পর্যালোচনা ও পরবর্তী প্রক্রিয়া নির্ধারণ করার দায়িত্ব দেয়। সেজন্য ২০ জুলাই দিন ধার্য করা হলেও পুরো প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য সময় বাড়ানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে হামাসের সঙ্গে ১১ মাস ধরে যুদ্ধ করছে ইসরাইল। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে কয়েক হাজার ব্যক্তিকে হত্যার পাশাপাশি জিম্মি করেন হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলি বাহিনী এক বছর ধরে গাজায় বোমা হামলা করে যাচ্ছে। বর্বরোচিত এই হামলায় মারা গেছেন ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ।