মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৭:১৯ অপরাহ্ন
শুভেচ্ছা বার্তা:
আলোকিত রাজারহাট একটি বহুল প্রচারিত প্রিন্ট পত্রিকা। এটি নিয়মিত প্রকাশ হয়ে আসছে। পত্রিকাটির পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা। আলোকিত রাজারহাট এর ওয়েবসাইট কয়েকদিনের মধ্যে আপনাদের মাঝে উন্মুক্ত হবে। আপনি গর্বিত সাইটটির সঙ্গে থেকে নিয়মিত খবর দেখুন ও পড়ুন। আমরা আপনার সঙ্গেই আছি। ধন্যবাদ।

শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় নাই জানালো মেজর হাফিজ

রিপোর্টারের নাম / ৮৩ টাইম ভিউ
Update : সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪

শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় নাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থানী কমিটির সদস্য মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম।

তিনি বলেন, ব্যালটের রাজনীতি ছাড়া আওয়ামী লীগের মধ্যে স্বাধীনতার ঘোষণার কোন মানসিকতাও ছিল না। ২৭ মার্চ আওয়ামী লীগ হরতাল ডেকেছিল। তাজউদ্দীন আহমদ বারবার স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে অনুরোধ করেছিলেন কিন্তু শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করেনি। তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা দিলে বিচ্ছিন্নতাবাদী হবে, ঘোষণা দিলে তিনি নাকি পাকিস্তানের সরকারের বিচারের মুখোমুখি হবেন, এমন কথা বলেছিলেন শেখ মুজিব। শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় নেই। এজন্য তিনি ঘোষণা দেননি। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন মেজর জেনারেল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তার নেতৃত্বে জনতা মুক্তিযুদ্ধ করেছে। এরপর ৭২ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস মুছে ফেলে।-খবর তোলপাড়।

সোমবার (২১ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার, খুনী হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে এ আলোচনা সভায় আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা একটা স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করতে চাই। পার্শ্ববর্তী দেশের গোলাম হয়ে আমরা কেউ থাকতে চাই না। জুলাই আগস্টের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা আবার একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি, সেটিকে হেলায় হেলায় হারাতে চাই না।

তিনি বলেন, বিতাড়িত স্বৈরাচার শক্তি ভারতে বসে নতুন করে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে ভয়ঙ্কর গুজব ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, শেখ হাসিনার নাকি পদত্যাগ পত্র পাওয়া যাচ্ছে না, কারো কাছে নেই তার পদত্যাগ পত্র। এর মধ্য দিয়ে একশ্রেণীর মানুষকে বোঝানো হচ্ছে, শেখ হাসিনা এখনো বৈধ প্রধানমন্ত্রী। এর চেয়ে বড় আর মিথ্যাচার হতে পারে না। শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ সরকার, তিনি যে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এরপর পদত্যাগ পত্রের কী প্রয়োজন আছে? এমন প্রশ্ন রাখেন বিএনপির এই নেতা।

স্বৈরাচার চলে গেলেও তার টিমের রাষ্ট্রপতি এখনো বহাল তবিয়তে আছেন জানিয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অন্তর্বতী সরকার হয়তো জানে না, কোনভাবে বাংলাদেশের মানুষের জনজীবনে দুর্যোগ নেমে আসলে বা টালমাটাল হলে, এই ব্যক্তি আবার শেখ হাসিনার বন্দনায় নেমে পড়বেন। এতে কোন সন্দেহ নেই। তারা এত অপরাধ করেছে, শেখ হাসিনা ছাড়া এদেরকে বাঁচানোর কেউ নেই। তাঁকে ছাড়া ভাবতে পারে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর