রাজারহাটে শনিবারে তাপমাত্রা নেমেছে ১২.৪ ডিগ্রিতে, জেঁকে বসেছে শীত

প্রহলাদ মন্ডল সৈকত:
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় ঘনকুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিকেলের পর থেকে সকালে ১১টা পর্যন্ত ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়ে পথঘাট ও প্রকৃতি। কনকনে ঠান্ডার কারণে মানুষ খড়ের ঢিবিতে আগুন দিয়ে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। অনেকে পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছে। কিন্তু অসহায় দুঃস্থ মানুষগুলো টাকার অভাবে গরম কাপড় না পেয়ে থরথর করে কাঁপছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রাজারহাট উপজেলাসহ এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন।
দিনের অধিকাংশ সময় সূর্য মেঘে ঢাকা থাকছে। বিকেলের পর থেকে সকাল পর্যন্ত হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হতে থাকে। ঘনকুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে যাতায়াত করছে। রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে শীতজনিত কারণে কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে কুয়াশা ও শীতের কারণে কৃষি শ্রমিক,দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছে। তারা সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না। অপরদিকে হিমেল বাতাসে তীব্র শীতের কবলে পড়েছে তিস্তা ও ধরলা নদীর বাঁধ ঘেঁসা ও চরের হতদরিদ্র মানুষ।
উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের চাকিরপশার তালুক গ্রামের দিনমজুর সেকেন্দার আলী(৭০) বলেন, কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা ও কুয়াশা। কাজ করা খুব সমস্যা হইছে বাহে। আজকেও ঘন শীতে রাস্তা দেখায় যায় না। কাজ করার সময় হাত বরফ হয়ে যায়।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এ মাসে তাপমাত্রা আরও কমে ২-৩টি শৈতপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।