বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:১৫ অপরাহ্ন
রমেশ সরকার, শ্রীবরদী (শেরপুর):
শেরপুরের শ্রীবরদীতে জাতীয় শ্রমিক লীগ রানীশিমুল ইউনিয়ন শাখার ৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুর রহিম বানু হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার ভায়াডাঙ্গা বাজারের টেঙ্গরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় এলকাবাসীর আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বানু হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত ফাঁসির দাবি করা হয়।
মামলা ও পরিবারের সদস্য সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর গভীর রাতে নিজ বসত ঘরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয় আব্দুর রহিম বানু। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে ঐ দিন চিকিৎসারত অবস্থায় বানুর মৃত্যু হয়। এঘটনায় বানুর বড় ছেলে রমজান আলী বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত নামীয় ৪/৫ জনকে আসামী করে ২১ অক্টোবর শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বানুর স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে ১নং স্বাক্ষী করা হয়। অধিকতর তদন্তের জন্য উক্ত মামলাটি সিআইডি’তে হস্তান্তর হয়।
কিন্তু পরবর্তীতে একটি ভিডিও প্রকাশ হলে বানু হত্যা মামলা নতুন মোড় নেয়। ভিভিওতে বানু আহত থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী ও সুরুজ্জামানের নাম বলে। ঐ ভিডিও’র ভিত্তিতে বানু’র ছোট ছেলে মো. হোসাইন কবির বাদী হয়ে বানুর স্ত্রী রোকেয়া বেগম, বড় ছেলে রমজান আলী, বানুর বন্ধু সুরুজ্জামান সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামী করে ২০২৩ সালের ২ জুন শেরপুরের শ্রীবরদী সিআর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মানববন্ধনে মামলার বাদী বানু’র ছোট ছেলে হোসাইন কবির বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে আমার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বাবা গুরুতর আহত থাকা অবস্থায় হত্যাকারীদের নাম বলেছেন। এঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। এসময় সাবেক ইউপি সদস্য স্বপন মিয়া, আ: ছাত্তার, সিদ্দিকুর রহমান সহ মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত ফাঁসির দাবী করেন।
রানীশিমুল ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। রানীশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সোহাগ এঘটনায় প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) নাইম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আসামী আকরাম হোসেনকে ঢাকা থেকে আটক করে শেরপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলো। পরবর্তীতে শেরপুর নিম্ন আদালতে হাজিরা দিলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণ করে।