সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হচ্ছে সাকিব!

অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য সাকিব আল হাসানকে নিষিদ্ধ করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। পুনরায় বোলিং পরীক্ষা দিয়ে পাস না করা পর্যন্ত ইসিবি আয়োজিত কোনো টুর্নামেন্টে তিনি বোলিং করতে পারবেন না। কিন্তু এর বাইরে অন্য দলের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা বিপিএলেও কি বোলিং করার অনুমতি পাবেন সাকিব? এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কী বলছে?
ফারুক আমলে প্রথম ১৭ ম্যাচের ১৩টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। আইসিসির সন্দেহজনক ও ত্রুটিপূর্ণ বোলিং বিষয়ক নীতিমালার ১১.৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন যদি একজন বোলারকে তাদের নিজস্ব নীতিমালার অধীনে ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং নিষিদ্ধ করে এবং সেই নিষেধাজ্ঞা যদি স্বীকৃত পরীক্ষাগারে মানসম্মত বিশ্লেষণী বিধি অনুযায়ী করা হয়, তাহলে সেই নিষেধাজ্ঞাকে আইসিসি আমলে নেবে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরোপ করবে।’-খবর তোলপাড়।
১৮ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হলো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আসন্ন বিপিএলে সাকিব খেলতে পারবেন কিনা? ঘরোয়া লিগগুলোর বিষয়েও আইসিসির নীতিমালায় বলা আছে, ‘জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশনগুলোর অধীনস্থ ঘরোয়া ক্রিকেটেও কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া একই নোটিশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হয়ে যাবে। আইসিসি এবং জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশনগুলো সিদ্ধান্ত আরোপ ও কার্যকরের জন্য সব পদক্ষেপ বিধিসম্মতভাবে নেবে।’
রাজনীতি, ফিক্সিং, নিষেধাজ্ঞা মিলিয়ে সাকিবের চরম দুর্দিনরাজনীতি, ফিক্সিং, নিষেধাজ্ঞা মিলিয়ে সাকিবের চরম দুর্দিন
সুতরাং এটা পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে যে, আইসিসি যদি ইসিবির এই সিদ্ধান্তকে আমলে নেয়, তাহলে সাকিব সব ধরনের ক্রিকেটে বোলিং করা থেকে নিষিদ্ধ হতে পারেন। তবে বিপিএল খেলার একটা সুযোগও আছে সাকিবের সামনে। আইসিসির ১১.৪ অনুচ্ছেদ বলা আছে, ‘১১.১ ও ১১.৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কোনো খেলোয়াড়কে তার দেশের ক্রিকেট ফেডারেশন ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় বোলিং চালিয়ে যেতে অনুমতি দিতে পারবে (তবে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই)।’
রাজনৈতিক কারণে আগামী বিপিএলে সাকিবের খেলা নিয়ে এমনিই শঙ্কা আছে। তার ওপর বিসিবি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে সাকিবের আর বিপিএল খেলা হবে না। গত সেপ্টেম্বরে সারের হয়ে ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে একটিমাত্র ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিব। সেই ম্যাচেই তার বোলিং নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা। এরপর ইংল্যান্ডের লাফবরো ইউনিভার্সিটির মেডিকেল বিভাগে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে ব্যর্থ হন সাকিব। গত ১০ ডিসেম্বর থেকে তার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।
বোলিংয়ের অনুমতি পেতে হলে সাকিবের করণীয় বিষয়ে আইসিসির ১১.৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘উক্ত খেলোয়াড় যে কোনো সময় তার বোলিং অ্যাকশনের আরও বিশদ পরীক্ষাপত্র জমা দিতে পারবেন, যেটা (নিষিদ্ধ ঘোষণা করা) একই ক্রিকেট ফেডারেশনের দ্বারা স্বীকৃত পরীক্ষাগারে মানসম্মত বিশ্লেষণী বিধি অনুযায়ী হতে হবে। এই পরীক্ষায় অবৈধ অ্যাকশন ছাড়াই বোলিং করতে পারলে, সেই খেলোয়াড়কে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ের অনুমতি দেবে। সেইসঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সকল ক্রিকেট ফেডারেশন তাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিংয়ের অনুমতি দিতে পারবে।’