টাকা না পেয়ে ফাঁকা স্টাম্প ও চেক নিয়েছে সন্ত্রাসীরা পীরগঞ্জে পুলিশ সদস্যকে জিম্মি করে অর্ধকোটি টাকা মুক্তিপণ দাবী
ঠাঁকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকসহ ৯জনকে আটক করে অর্ধকোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে না পেয়ে ফাঁকা স্টাম্প ও চেক নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি ফাঁস করলে হত্যার হুমকীও দিয়েছে তারা।-খবর তোলপাড়।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ভাদুয়া গ্রামের সুধীর চন্দ্র রায়ের ছেলে নরেশ চন্দ্র রায়(৬০) এর বাড়িতে সোমবার(২৮ফেব্রুয়ারী) ফ্লিমি স্টাইলে একই উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মল্লিকপুর গ্রামের মৃত গদাধর অধিকারীর ছেলে চন্দন অধিকারী(৩৮) নামের এক পুলিশ সদস্যকে আটক করে জিম্মি করে রাখে বীরগঞ্জ উপজেলার হরসুন্দর বর্মণ(৫৫), পীরগঞ্জ উপজেলার সুধীর চন্দ্র রায়ের ছেলে অধির চন্দ্র রায়(৪০) কাহরোল উপজেলার মৃত রাধাচরণ রায়ের ছেলে শচীন্দ্রনাথ রায়(৪০), পীরগঞ্জ উপজেলার সাঠিয়া গ্রামের মাধব চন্দ্র রায়ের ছেলে দিলিপ রায়(৩৫), পীরগঞ্জ উপজেলার জগথা শান্তি বাগ গ্রামের সাধু বর্মনের ছেলে গৌরাঙ্গ বর্মন(৩৫)।
এরপর চন্দন অধিকারীর কাছে ২০লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় ওই দিন বিকালে অধীর চন্দ্র ০১৭৩৩১৮২১২৬ মোবাইল নম্বর থেকে চন্দন অধিকারীর দুলাভাই সাংবাদিক প্রহলাদ মন্ডল সৈকতকে ফোন করে চন্দন অধিকারী অসুস্থতা বলে খবর দেয়। খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় মটরসাইকেল যোগে সাংবাদিক প্রহলাদ মন্ডল সৈকত ও তার স্ত্রী সন্তানসহ ৮জন নরেশ বাড়িতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে ৫০লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে আটক করে। মুক্তিপণ না পেয়ে সন্ত্রাসীরা মরিয়া হয়ে উঠে শারিরিক ও মানষিক নির্যাতন করতে থাকে।
এসময় তারা ৩শত টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নিয়ে এসে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করে নেন। এবং চন্দন অধিকারীর বাড়িতে ফোন দিয়ে তার বৃদ্ধ মায়ের কাছ থেকে র্দূষ্কৃতিকারী শচিন্দ্রনাথ রায় সোনালী ব্যাংক পীরগঞ্জ শাখার ফাঁকা চেকের পাতায় যার নম্বর ৪১৫৭৭১০ স্বাক্ষরসহ চেক নিয়ে চলে যায়। স্বাক্ষর করা ফাঁকা স্ট্যাম্প ও চেক পেয়ে সন্ত্রাসীরা বলেন আগামী ২মাসের মধ্যে মুক্তিপণের ৫০ লাখ টাকা না পেলে এবং থানায় কিংবা কোথাও এ খবর ফাঁস করলে জিম্মি করা শিশুসন্তানসহ সকলকে হত্যা করে লাশগুম করার হুমকী দিয়ে রাত সাড়ে ১২টায় ছেড়ে দেয়। এ কারণে পুলিশ সদস্য চন্দন অধিকারী কোথাও কোন অভিযোগ করতে সাহস পায়নি। গত শনিবার(২৩মার্চ) সন্ত্রাসী দিলিপ ও নরেশসহ অজ্ঞাত আরও ২জন পুলিশ সদস্য চন্দন অধিকারীর বাড়িতে গিয়ে চন্দনকে না পেয়ে তার মা ভাগ্য রানীকে ৫০লাখ টাকার দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। টাকা না পেয়ে বৃদ্ধ মাকে তারা গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় লোকজন ছুটে আসলে কৌশলে তারা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য চন্দন অধিকারী তার পরিবার- পরিজনকে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। চন্দন অধিকারী বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ খাইরুল আলম ডন বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাই নাই। এটি একটি মারাত্মক অপরাধ। অভিযোগ পেলে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।