ঢাকাকে হারিয়ে এনসিএলে চ্যাম্পিয়ন রংপুর

৬৩ রানের মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল রংপুর বিভাগ। সিলেটে এনসিএল টি-টোয়েন্টির ফাইনালে তখন রোমাঞ্চের আভাস। তবে এই অল্প রানে প্রাণপণে চেষ্টা করেও ঢাকা মেট্রোর বোলাররা কুলিয়ে উঠতে পারল না। শেষ পর্যন্ত সহজ জয়েই প্রথমবারের মতো আয়োজিত এনসিএল টি-টোয়েন্টির শিরোপা জিতে নিল রংপুর।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এনসিএল টি-টোয়েন্টির ফাইনালে ঢাকা মেট্রোকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর বিভাগ।-খবর তোলপাড়।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নামা ঢাকা মেট্রো ১৬.৩ ওভারে মাত্র ৬২ রানেই অলআউট হয়ে যায়।। জবাবে ১১.২ ওভারেই ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রংপুর।
ছোট্ট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয় খুব একটা সহজে আসেনি রংপুরের। মন্থর শুরুর পর আলিস আল ইসলামের ওভারে আব্দুল্লাহ আল মামুনের (২) উইকেট হারায় রংপুর। সেই ওভারেই দুই বল পর নাঈম ইসলামকেও বিদায় করেন এই স্পিনার। রংপুরের রান তখন ১৪।
আবু হায়দার রনির করা পরের ওভারে জোড়া উইকেট হারায় রংপুর । ১৮ বলে ৯ রান করা চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলার পর অধিনায়ক আকবর আলী রানআউটে কাটা পড়েন। রানের খাতাও খুলতে পারেননি রংপুরের অধিনায়ক। রংপুরের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৮ রান।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে তানবীর হায়দার ও আরিফুল হক ২৪ রান যোগ করে ম্যাচ রংপুরের অনুকূলে নিয়ে আসেন। ১১ বলে ১৪ রান করা আরিফুলকে আউট করে ম্যাচে ফের রোমাঞ্চ নিয়ে আসেন রাকিবুল। পাঁচ উইকেট হাতে নিয়ে তখনও রংপুরের দরকার ২১ রান।
কিন্তু ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তানবীরকে নিয়ে বাকি কাজটুকু নির্বিঘ্নে সারেন এনামুল হক আনাম। ৯ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন আনাম। তানবীর ২০ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫২ বল হাতে রেখেই জয় পায় রংপুর।
ঢাকার পক্ষে আলিস আল ইসলাম ও আবু হায়দার রনি ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা ঢাকা মেট্রো আলাউদ্দিন বাবু ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধের বোলিং তোপে মাত্র ৬২ রানে গুটিয়ে যায়। ঢাকার মাত্র দুজন ব্যাটার দুই অঙ্কের রানের দেখা পেয়েছেন। শামসুর রহমান শুভ ১৪ এবং আবু হায়দার রনি ১৩ রান করেন।