সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
শুভেচ্ছা বার্তা:
আলোকিত রাজারহাট একটি বহুল প্রচারিত প্রিন্ট পত্রিকা। এটি নিয়মিত প্রকাশ হয়ে আসছে। পত্রিকাটির পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা। আলোকিত রাজারহাট এর ওয়েবসাইট কয়েকদিনের মধ্যে আপনাদের মাঝে উন্মুক্ত হবে। আপনি গর্বিত সাইটটির সঙ্গে থেকে নিয়মিত খবর দেখুন ও পড়ুন। আমরা আপনার সঙ্গেই আছি। ধন্যবাদ।

ভারত-বাংলাদেশের পরস্পরকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে বললো প্রণয় ভার্মা

রিপোর্টারের নাম / ২৪ টাইম ভিউ
Update : মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, চারদিকে পরিবর্তন ঘটলেও দুই দেশ সত্যিই একে অপরকে এমন কিছু দিতে পারে যা পেতে তাদের অন্য কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। ভারত সম্পর্কটি এভাবেই দেখে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাইকমিশনে কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা এই সম্পর্কের দিকে তাকাচ্ছি। এখানে দুদেশের সম্পর্ককে পরস্পরের স্বার্থ, উদ্বেগ ও আকাঙ্ক্ষার প্রতি সংবেদনশীল হয়ে বিবেচনা করতে হবে।’-খবর তোলপাড়।

তিনি বলেন, ‘উভয় দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে আমাদের দৃঢ় অবস্থান রয়েছে। আমরা সত্যিই বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক, স্থিতিশীল ও গঠনমূলক সম্পর্ক চাই, যা উভয়ের জন্য লাভজনক।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘সম্পর্কটি অবশ্যই পরস্পরের জন্য লাভজনক হতে হবে। (দুই দেশের) জনগণই এই সম্পর্কের মূল অংশীজন। আমরা বিশ্বাস করি, সহযোগিতামূলক সম্পর্ক উভয় দেশের সাধারণ মানুষের জন্যই কল্যাণকর হবে।’

হাইকমিশনার বলেন, ‘সম্পর্কের অগ্রগতি ধীর হয়েছে- এমন ধারণা ঠিক নয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকে পাঠানো বার্তা, পরবর্তী সময়ে তাদের ফোনালাপ ও ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে অধ্যাপক ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানানো- এগুলোই ইঙ্গিত দেয় যে, দুই দেশেরই সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

এছাড়া, এই সম্পর্কের অগ্রগতিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. এস জয়শঙ্কর ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তৌহিদ হোসেনের মধ্যকার বৈঠক এবং সম্প্রতি পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথাও এ সময় উল্লেখ করেন ভার্মা।

তিনি বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যথেষ্ট গতিশীলতা রয়েছে। ভারত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাংলাদেশে আসছে।’

এমনকি, কেবল বাংলাদেশে যে পরিমাণ ভিসার অনুমোদন করা হয় তা অন্য সব দূতাবাসের সম্মিলিত সংখ্যার চেয়েও বেশি বলে উল্লেখ করেন হাইকমিশনার। পাশাপাশি দুই দেশের ভৌগোলিক নৈকট্যকে কাজে লাগিয়ে তা নতুন অর্থনৈতিক সুযোগে রূপান্তরের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

চারপাশের পরিবর্তন সত্ত্বেও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের মৌলিক বিষয়গুলো এগিয়ে নিতে যা যা করা দরকার দিল্লির পক্ষ থেকে সেসব করা হচ্ছে বলেও এ সময় জানান তিনি।

ভারতীয় হাইকমিশন এ বছর দুই দফায় কূটনৈতিক সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশসহ (ডিক্যাব) অন্যান্য সাংবাদিকদের জন্য ভারতে সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মতবিনিময়কালে ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু উপস্থিত ছিলেন।-সূত্র ইউএনবি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর