উলিপুর এলএসডিতে ৫০দিনে এক কেজি ধানও সংগ্রহ হয়নি, চাল সংগ্রহেও ধীর গতি

আব্দুল মালেক:
কুড়িগ্রামের উলিপুর এলএসডি গোডাউনে এখন পর্যন্ত এক কেজি ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি। গত ৯ ডিসেম্বর ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান আরম্ভ হলেও ৫০ দিনে কোন কৃষক এলএসডি গোডাউনে ধান দিতে আসেনি। চুক্তি রক্ষার্থে মিলাররা লোকসান গুনেও গোডাউনে চাল দিচ্ছে ধীর গতিতে।
চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে গোডাউনে ৬’শ ১০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়। যা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহে প্রতিটি ইউনিয়নে প্রচার প্রচারণা চালানো হয়। তবুও সাড়া মেলেনি। কৃষকরা বলছেন খোলা বাজারের চেয়ে সরকারি গোডাউনে ধানের দাম কম তাই ধান দেয়া হচ্ছে না। একারণে এক কেজি ধানও সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে চালের কেজি ৪৭ টাকা এবং ধানের কেজি ৩৩ টাকা।
এদিকে ৬’শ ১১ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়। চাল সংগ্রহের জন্য ৫১টি হাসকিং মিল চাতাল মালিকের সাথে খাদ্য গুদামের চুক্তি হয়। সোমবার পর্যন্ত প্রায় ২২০ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ হয়েছে।
উপজেলা মিল চাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান বুলেট জানান, খোলা বাজারে চালের দাম বেশি। সরকারের সাথে চুক্তি ঠিক রাখতে লোকসান করে খাদ্যগুদামে চাল দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিসবাহুল হোসাইন বলেন, চলতি মৌসুমে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়, যা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এখন পর্যন্ত ধান সংগ্রহ হয়নি। তবে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।