হাসিনা চীনের তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেনি ভারতের আপত্তির কারণে জানিয়েছে আসাদুল হাবিব দুলু

আব্দুল মালেক:
শেখ হাসিনা চীনের তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেনি, ভারতের আপত্তির কারণে। দেশ হলো আমার, মানচিত্র হলো আমার, আর দিল্লিতে বৃষ্টি হলে শেখ হাসিনা ছাতা ধরতো বাংলাদেশে। জুলাই আন্দোলনে পতিত শেখ হাসিনা সরকারকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে, তারা কি আমাদের বন্ধু হতে পারে, পারে না। অনেক বুদ্ধিজীবি অনেক কথা বলেন, ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র অথচ তারা বাংলাদেশের তালপট্রি দখল করে, সীমান্তে প্রতিদিন নিরিহ মানুষ গুলি করে হত্যা করে, তারা কোনোদিন আমাদের বন্ধু হতে পারে না।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের দড়ি কিশোরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে প্রস্তুতি সভায় রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনে পতিত শেখ হাসিনা সরকারকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে, তারা কি আমাদের বন্ধু হতে পারে, পারে না। অনেক বুদ্ধিজীবি অনেক কথা বলেন, ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র অথচ তারা বাংলাদেশের তালপট্রি দখল করে, সীমান্তে প্রতিদিন নিরিহ মানুষ গুলি করে হত্যা করে, তারা কোনোদিন আমাদের বন্ধু হতে পারে না।
তিনি বলেন, রংপুর হবে সারা বাংলাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী এলাকা। রংপুরের মানুষ খাদ্যশষ্যে সবচেয়ে অগ্রগামী। শষ্য ভান্ডার হবে রংপুর। তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এ এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।
এ এলাকার মানুষকে প্রিয় পরিবার রেখে ঢাকা-গাজীপুর চট্রগ্রামে গিয়ে কাজ করতে হবে না। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দেশের মানুষের প্রতি কোনো ভালোবাসা ছিল না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হাসিনাকে বলেছিলেন তুমি তিস্তার পানি চাও না গদি চাও, তিনি গদি চেয়েছিলেন। কারণ তিস্তা পারের মানুষ আমাকে ভোট দেয় না। আমাকে ভোট দেয় প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশ ভাইয়েরা। সুতরাং জনগণের কাছে তার কোনো জবাবদিহিতা ছিল না। এ কারণে মোদী সরকারের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি করা সম্ভব হয়নি। যারা বাংলাদেশকে ছোট মনে করে তাদের উদ্দেশ্য বলি, পৃথিবীর শক্তিশালী সেনাবাহিনী পাকিস্তান, তারা কিন্তু আমাদের কাছে পরাজিত হয়েছে।
প্রস্তুতি সভায় উলিপুরের সমন্বয়ক হায়দার আলী মিঞার সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান বুলবুলের সঞ্চালণায় বক্তব্য রাখেন, জেলা সমন্বয়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, সহকারী অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব, সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, আব্দুর রশিদ, মহসিন আলী, নুর মোহাম্মদ, সোলায়মান আলী সরকার, আব্দুল বারী সরকার, আব্দুল মতিন সরকার শিরীন, আবু হানিফা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, তিস্তা নদীর তীরবর্তী রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলার ১১টি স্থানে আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ২দিন ব্যাপি লাগাতার কর্মসূচি বাস্তায়নের জন্য এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।