শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

স্বামী পরিদর্শক হওয়ায় এফডব্লিউএর স্ত্রীর ২ মাসে একদিন হাজিরা

রিপোর্টারের নাম / ৯৬ টাইম ভিউ
Update : বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪

আসাদুজ্জামান স্টালিন,জলঢাকা(নীলফামারী):

স্বামী ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক হওয়ার সুবাদে একই ইউনিয়নে কর্মরত পরিবার কল্যাণ সহকারী স্ত্রী দুই কিংবা তিন মাসে একদিন হাজিরা থাকেন কর্ম এলাকায়। এমন অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিক এলাকায়।

সরেজমিন, বুধবার দুপুরে উপজেলার ডাউয়াবাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিক এলাকায় গেলে দেখা যায়, দলে দলে কিছু মহিলা এবং কিশোরী সেখান হতে বিরস মুখে ফিরে যাচ্ছে। কেউবা অস্পষ্ট ভাবে বিরবির করে কি যেন বলছে। একসময় মধ্য বয়সী এক মহিলা বলেই ফেলে সরকারের টাকা নেয় চাকুরী করে আর এলাকায় আসেনা। হামরা যামো কোনটে ? কাকে হামরা হামার সমস্যার কথা বলি ? আরেকটু এগিয়ে গেলে শোনা যায়, পরিবার কল্যাণ সহকারী(এফডব্লিউএ) হিসেবে কর্মরত আছেন মৌসুমী আক্তার নামে এক নারী। তিনি চলতি বছরের ৬এপ্রিল পর্যন্ত কর্ম এলাকায় উপস্থিত হয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করলেও সেই থেকে চলতি মে মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত আর কর্ম এলাকায় যাননি।

জানা যায়, তিনি কর্মস্থলে না গিয়ে কখনও ২মাস কিংবা ৩মাসের স্বাক্ষর একদিনে করে সরকারের বেতন ভাতা জায়েজ করেন। একই ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক(এফপিআই) হিসেবে কাজ করছেন মৌসুমী আক্তারের স্বামী স্বাধীন রানা। ফলে স্বামী ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক হওয়ার সুবাদে একই ইউনিয়নে কর্মরত পরিবার কল্যাণ সহকারী স্ত্রী দুই কিংবা তিন মাসে একদিন হাজিরা থাকেন কর্ম এলাকায়। এতে খাতা কলমেই পরিবার পরিকল্পনা সেবা সীমাবদ্ধ থাকছে। আর পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে এলাকাবাসী সচেতন তো দুরের কথা চরম ভাবে সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, স্বামী-স্ত্রী এক জায়গায় চাকুরী করলে যা হয় তাই হচ্ছে। তারা তো শহরে থাকে। তাই দুই কিংবা তিন মাসে একদিন হাজিরা দিতে আসেন। আমাদের অসুবিধা- সমস্যা শোনা তার(মৌসুমী) সময়ই হয় না। কিছু বলতে গেলেই সমস্যা। বড় স্যারেরা নাকি তার ভ্যানিটি ব্যাগে থাকে। এজন্য ইচ্ছে মতো চাকুরী এলাকায় যাওয়া আসা করে। আমরা সরকারের দেওয়া সেবা থেকে চরম ভাবে বঞ্চিত হচ্ছি। এসব দেখার মতো পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উর্ধতন কর্তা ব্যক্তিরা আছেন বলে মনে হয় না।

ডাউয়াবাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিক সিএইচসিপি(কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার) মঞ্জুরুল বলেন, মৌসুমী আক্তার কিছু ঔষধ আমাকে দিয়ে যায়। কেউ চাইলে আমি দিয়ে থাকি।

মুঠোফোনে কথা হলে পরিবার কল্যাণ সহকারী(এফডব্লিউএ) মৌসুমী আক্তার বলেন, কি আর বলবো ? মালামাল তুলেছি,পাঁচ দিনের ট্রেনিং ছিল। এজন্য ক্লিনিকে যাওয়া হয় নাই।

এবিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা(ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ও এমওএমসিএইচ ডাঃ মনিরুজ্জামান বলেন,আমাদের অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিষয়টি ডিডি স্যারকে জানাব।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রেজওয়ানুল কবির বলেন, ওদের নিয়ন্ত্রনের জন্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আছে তাদের সাথে যোগাযোগ করেন।

বিষয়টি নিয়ে পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘উপজেলা অফিসার ঢাকায় ট্রেনিং থেকে আসুক । তারপর বিষয়টি আমরা দেখব।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর