ঘূর্ণিঝড় রেমাল: পৌনে ২ লাখ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল ও তার প্রভাবে অতিবৃষ্টিতে ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃষিতে রেমালের প্রভাব পড়েছে ৪৮টি জেলায়। এরমধ্যে বেশি ক্ষতি হয়েছে বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা নড়াইল, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারে।
ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র পেতে ৭-৮ দিন লেগে যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম।-খবর তোলপাড় ।
গত রোববার ও সোমবার কৃষিতে হওয়া ক্ষতির মধ্যে আছে- বর্তমানে মাঠে দণ্ডমান ফসলি জমির পরিমাণ প্রায় ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৫ হেক্টর আর আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় ১০ হাজার ৮৪৩ হেক্টর আউশ বীজতলা, ২১ হাজার ৪৩৪ হেক্টর আউশের জমি, ৭ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমির বোরো ধান, ৪ হাজার ৮২৬ হেক্টর জমির বোনা আমন, ৫২ হাজার ১৯০ হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালীন সবজি, ২৯ হাজার ৭৪৯ হেক্টর পাট, ৭ হাজার ৫৩৬ হেক্টর তিল, ৩ হাজার ৫০৭ হেক্টর মুগ এবং ২ হাজার ৪৪৪ হেক্টর জমির পান ক্ষত্রিগ্রস্ত হয়েছে।
ফলের মধ্যে আমের জমি ৪ হাজার ৭০৮ হেক্টর, লিচুর ১ হাজার ৫৭৫ হেক্টর এবং ৭ হাজার ৬১৩ হেক্টর জমির কলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত ২২ মে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়, যা ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ দশা পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় শনিবার সন্ধ্যায়। তখন এর নাম দেয়া হয় রেমাল। রোববার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি পরিণত হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে।
ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে বানের জলে ভেসে, দেয়াল ও গাছচাপায়, আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে প্রাণ গেছে অন্তত ১৬ জনের।