রাঙামাটিতে গুলিবিদ্ধ ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
শাহীন, কক্সবাজার:
রাঙামাটিতে উপজেলা নির্বাচনের দিন সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিলাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আতুমং মারমা (৫১)। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় বারোটার দিকে তিনি মারা গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরোত্তম তংচঙ্গ্যা।
তিনি জানান, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের দিন রাতে গুলিবিদ্ধ আহত হওয়ার পর আতুমং মারমা চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন ছিলো। (বৃহস্পতিবার) রাতে তার সাথে থাকা ওয়ার্ড মেম্বার ও স্বজনরা ফোন করে জানিয়েছেন তিনি মারা গেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ মে) রাত সাড়ে এগারোটায় রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলী পাড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন আতুমং। ওই সময় বড়থলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বড়থলী পাড়ার একটি বাড়িতে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় এবং পরদিন (বুধবার) ভোরেবান্দরবান জেলার রুমা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রুবেল জানিয়েছিলেন, রোগীর গায়ে দুটি গুলি লেগেছে। তার মধ্যে হাতে গুলিটা ঢুকে বের হয়ে গেছে। তবে পায়ের উরুতে গুলি আটকে আছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গুলিবিদ্ধ আতুমং চেয়ারম্যানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ পাঠানো হয়।
এ ঘটনার পর বিলাইছড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের এএসপি মো. আবুল কাশেম চৌধুরী জানান, গুলিবিদ্ধ আতুমং চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। চিকিৎসা করে ফিরে আসার পর মামলা হবে। তদন্ত করার পর এই ঘটনার কারণ জানা যাবে।