মেঘনা আলম ঘটনা ইউনুস সরকারের নারী নির্যাতনের একটি খন্ড-চিত্র

।।শিতাংশু গুহ, নিউইয়র্ক।।
মেঘনা আলম-কে আমি চিনতাম না, পরে শুনলাম তিনি অভিনেত্রী। তাঁর অভিনয় দেখেছি বলে মনে হয়না। তবে সেদিন ফেইসবুকে তাঁর বাঁচার আকুতি দেখেছি। আলমগীর হোসেন নামে একজন মেঘনার লাইভ ভিডিও-টি সম্প্রচার করে লিখেছেন, “উগ্র মৌলবাদী জঙ্গি গুলো বাড়িতে ডুকে,পুলিশ পরিচয় দিয়ে মহিলাদের জোরপূর্বক তোলে নিতে চাচ্ছে; বাংলাদেশে নারীরা ভয়ানক ভাবে নির্যাতিত হচ্ছে এই অবৈধ ইউনুস সরকারের সময়” (বানান ইত্যাদি সংশোধন করলাম না)| আলমগীর হোসেনকেও আমি চিনিনা, তিনি আমার ফেসবুকে নেই, লন্ডনের পুষ্পিতা গুপ্তের ফেইসবুকে শেয়ার হলে আমি সেটি দেখি।
সেদিন ছিলো ৯ই এপ্রিল ২০২৫ রাত বা ভোররাত। মেঘনা আকুলভাবে সবাইকে লাইভে সাহায্যের জন্যে আহ্বান জানাচ্ছে। বলছে, পুলিশের নাম নিয়ে কিছু লোক আমার দরজা ভেঙ্গে ফেলতে চাচ্ছে। তিনি তাঁদের সাথে জোরে জোরে কথা বলছিলেন। এরমধ্যে সম্ভবত: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথেও কথা বলছিলেন। উকিলের সাথেও কথা বলেন। তিনি স্পষ্টত: বলছিলেন, আমি আমার উকিল নিয়ে থানায় আসবো। লোকজন বলছিলো, আমরা আইডি দেখতে চাই, আবার বলছে যে আপনার বাড়িতে মাদক আছে ইত্যাদি। ভিডিওতে দরজায় ধাক্কার শব্দ পাওয়া যাচ্ছিলো। এরই মধ্যে লোকজন দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে এবং তাঁর সাথে কিছুটা ধস্তাধস্তি টের পাওয়া যায়, বোঝা যায় তাঁর কম্পিউটার ইত্যাদি ওঁরা নিয়ে যাচ্ছে।
মেয়েটি’র লাইভ ভিডিও:
https://www.facebook.com/alamgir.hussain.10/videos/1168364325069483/?__cft__%5b0%5d=AZVNxLkp0fA054gsJ1iIcqcZZVjf7K23ZJxJ-jkYCc9J00nHxzZXheA5gRHUmgg-NaxLGl469Ded8R9OlNMrUCqjwEyAFfMI64KJ9-agcJuCypCqzR_JlSOuh-LyuIYjZVauWxanKb3C84MjD3PoIxKPQ3QHTpKZRBysf4TJxg0jzqN40reHKjbCJjjjVlNvelgrzh_R3M9KKAsvThI7rQEQ&__tn__=%2B%3FFH-y-R
ভিডিও শেষ হলে মন্তব্যে লিখি: ‘মেয়েটি’র ভাগ্যে কি হয়েছে জানিনা, আশা করি মেয়েটি ভাল থাকুক, কেউ জানলে আপডেট দেবেন। আজ ১৪ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি’র দিনে হটাৎ-ই একটি ‘টক-শো’-তে একজন সাইফুল আলম দেখলাম এনিয়ে আলোচনা করছেন। তিনি বলছেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত-সরকার মিলে একাজ করতে পারে। তিনি প্রশ্ন করেন, রাতে কেন দরজা ভেঙ্গে মেঘলাকে ধরে আনতে হবে? তিনি জানতে চেয়েছেন, মেঘনা আলমের সাথে প্রথম ১০ঘন্টা কি ঘটেছে? তাঁকে কি সৌদি রাষ্ট্রদূতের কাছে দেয়া হয়েছিলো? তিনি আরো বললেন, ২/১জন উপদেষ্টা এরসাথে জড়িত থাকতে পারেন। সাইফুল আলম টকশো: https://youtu.be/usDDZMUDJIw
আমার মতে, মেঘনা আলম ঘটনা ইউনুস সরকারের আমলে নারী নির্যাতনের একটি খন্ড-চিত্র মাত্র।
গুগল ঘেটে দেখলাম, অনেকগুলো দেশি-বিদেশী মিডিয়া মেঘনা’র খবর দিয়েছে (নিচ লিংক দেয়া হলো)। ড: মোহাম্মদ ইউনূসের আমলে দেশে ধর্ষণ ও মাদ্রাসায় বলাৎকার একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে গেছে। সরকারপক্ষ বলেছে, মেঘনা একটু বেশি ফাষ্ট এবং কিছু একটা টাকার ঘাপলা আছে? মেঘলার ঘটনা যদি বৃটেনে ঘটতো তাহলে সরকারের পতন ঘটতো। অথচ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাঁত কেলিয়ে বক্তব্য রাখছে, ‘বাংলাদেশের মত এত সম্প্রীতি কোথাও নেই’। মেঘনার ভাগ্যে কি ঘটেছে বা ঘটবে তা জানিনা, তবে ক্ষমতার দুর্বৃত্তায়ন হলে আরো কত মেঘনা হারিয়ে যাবে কেজানে? আমার ধারণা, লাইভ দেয়ায় মেঘনা এ যাত্রায় জানে-বেঁচে গেছে। মেঘনা এখন জেলে, এ সরকারের পতন না হলে এবং একটি জাতীয় সরকার ক্ষমতায় না এলে ইউনুস সরকারের কাছে মেঘনা বা কেউ সুষ্ঠূ বিচার পাবেনা।