বাথরুমে স্ত্রীর, খাটের নিচে মস্তক বিহীন শিশুপুত্রের নিথর দেহ, সেনা সদস্য স্বামী আটক
সংবাদদাতা, শাজাহানপুর (বগুড়া):
বগুড়ার শাজাহানপুরের বনানীতে একটি আবাসিক হোটেলে স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে জবাই করে হত্যা করার দায়ে স্বামী আজিজুল হক (২৪) কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। শনিবার দিবাগত রাতে বনানীস্থ শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। তবে কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।
আটক আজিজুল হক (২৪) বগুড়ার ধুনট উপজেলার হেউটনগর গ্রামের কৃষক হামিদুর রহমানের ছেলে এবং একজন সেনা সদস্য বলে জানা গেছে। হোটেলের ম্যানেজার রবিউর ইসলাম জানান, স্ত্রী আশা মনি (২০) ও শিশুপুত্র আব্দুল্লাহ আল রাফি (০১) কে নিয়ে ৩দিন হোটেলে থাকবেন এমন কথা শনিবার সন্ধ্যায় বনানীস্থ শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষে উঠেন আজিজুল হক। রাত ১০টার দিকে স্ত্রী-সন্তানকে রেখে বািরে যান আজিজুল। পরদিন সকাল ৯টার দিকে হোটেলে ফিরে ম্যানেজারকে ভাড়া পরিশোধ করে সটকে পড়ার চেষ্টা করেন আজিজুল। কিন্তু তার সাথে স্ত্রী-সন্তান না থাকায় হোটেল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে আজিজুল কে আটক করে পুলিশকে সংবাদ দেয়। স্থানীয়রা দেখতে পান, শিশুপুত্র রাফি’র মস্তক বিহীন লাশ ৩০১ নম্বর কক্ষের খাটের নিচে এবং স্ত্রী আমা মনির লাশ বস্তাবন্দী অবস্থায় টয়লেটে পড়ে আছে।
এরপর থেকেই জোড়া খুনের বিষয়টি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। নিহত আশা মনির পিতা বগুড়া শহরের নারুলী পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা আশাদুল জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার মেয়ে জামাই তার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে শনিবার বিকালে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় আজিজুল। এরপর রাত ১০টার দিকে আজিজুল তার শ্বশুড়কে ফোন করে জানায়, শরীর কারাপ লাগায় আশা মনিকে বাড়িতে পঠিয়ে দিয়ে সে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল। এখন বাগিতে ফোন করে জানতে পায় আশা মনি বাড়িতে যায়নি। সারারাত চলে খোঁজাখুঁজি। আজ সকাল ১১টার দিকে লোকমুখে জানতে পান মেয়ে আশা মনি ও নাতি রাফিকে বনানীস্থ একটি আবাসিক হোটেলে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম, শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম সহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী-সন্তানকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে আজিজুল হক। সে আরও জানায়, শিশুপুত্রের মাথা বিচ্ছিন্ন করে করতোয়া নদীতে ফেলে দিয়েছে।