রাজারহাটে সিংগারডাবড়ীহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম শোকজ!

সংবাদদাতা, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সিংগারডাবড়ীহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরিফুল ইসলামকে ৪জুলাই শোকজ করে গভর্নিং বডিকে কারণ দর্শাইবার নোটিশ প্রদান করেন রাজারহাট সহকারী জজ আদালত কুড়িগ্রাম।
পাশাপাশি রবিবার ৭জুলাই/২ সিংগারডাবড়ীহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় শাখার অনুষ্ঠিতব্য দীর্ঘদিন পড়ে নির্বাচনে অভিভাবকগণের ভোট গ্রহণ উপরে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
চলমান বিদ্যালয় গভর্নিং বডি কমিটির আমলে বিদ্যালয়ের তিনটি শূন্য পদে জনবল নিয়োগ বাণিজ্যের পায়তারায় পাতানো কমিটির পরিকল্পিত অভিযোগ দাখিলের অভিযোগ তুলেন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারি অভিভাবকরা।
নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে সিংগারডাবড়ীহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিকবারের সভাপতি বিবাদি আলহাজ্ব আবুনুর মো: আক্তারুজ্জামান, গভর্নিং বডি সদস্য সচিব ও প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ মো: আরিফুল ইসলাম ও গভর্নিং বডির অন্যতম সদস্য অভিযোগকারির পিতা বিদ্যুৎসাহী আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহেদ সরকারসহ অন্যান্য সদসগণকে নোটিশ প্রাপ্তির তিনদিনের মধ্যে জবাব প্রদানের আদেশ দেন।
একই আদেশে রোববার(৭জুলাই)বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডি নির্বাচনের অভিভাবকগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ কার্যক্রম স্থগিতাদেশ আসে।
কলেজ শাখার গভর্নিং বডি নির্বাচনের তফসিল পরবর্তী সময়ে সিলেকশন হয়েছেন দুইজন অভিভাবক সদস্য।
বিজ্ঞ আদালতের নোটিশ সুত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারি আব্দুল্ল্যা আল করিম ওরফে রতনকে প্রধান শিক্ষক মনোনয়নপত্র প্রদান না করাসহ মৃত ব্যক্তির নাম (২৭৭নংক্রমিক) ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রেখে গভর্নিং বডি গঠন করিতে না পারে এজন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
অভিযোগকারি আব্দুল্ল্যা আল করিম চলমান সিংগারডাবড়ীহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার বিদ্যুৎসাহী আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহেদ মাস্টারের সন্তান।
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারি অভিভাবক সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মঞ্জু বলেন নির্বাচন প্রচারণার শেষ মূহুর্তে মুঠোফোনে প্রধান শিক্ষক জানান আদালতের আদেশে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।তারপরে কোন কিছুই জিজ্ঞেস করার পূর্বেই কলটি কেটে দেয়।পরেরদিন জানতে পারি আব্দুল্ল্যা আল করিম ওরফে রতন অভিযোগ করেন,তিনি মনোনয়নপত্র প্রধান শিক্ষক না দেয়ায় অভিযোগ তুলেন বলেন অভিযোগকারী রতন বিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণা, মনোয়নপত্র ক্রয় ও যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে প্রধান শিক্ষকের রুমে উপস্থিত ছিলেন, তার ছবি ভিডিও ও প্রধান শিক্ষকের রুমে সিসি ক্যামেরায় রতনের উপস্থিতি সংরক্ষিত রয়েছে মন্তব্য করেন অভিভাবক সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মঞ্জু।তিনি আরও বলেন শূন্য পদে অর্থের বিনিময়ে প্রার্থীকে নিয়োগে অপচেষ্টায় এমন কর্মকাণ্ড ঘটিত হতে পারে। নইলে সন্তান কি ভাবে তার জন্মদাতা পিতার বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ করে এটা আমার প্রশ্ন?।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারকারি অভিভাবক সদস্য আশা আলী জানান আমার মনোনয়ন পত্র গ্রহন ও দাখিলের সময়ে আমি আব্দুল্ল্যা আল করিম ওরফে রতনকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষেই দেখি। তাহলে নিজেই মনোনয়ন ক্রয় ও দাখিল না করেই প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে এই অভিযোগ করেন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন অভিযোগকারি উল্লেখ করেন তিনি মনোনয়নপত্র নিতে পারেননি।এ অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বানোয়াট, এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের একজন অত্যান্ত কাছের ও প্রিয় মানুষ। তিনি সবসময় তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে বর্তমান কার্যক্রম পর্যন্ত পুরোপুরি জরিত।তার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।তার বাবা আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহেদ সরকার চলমান কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য। দীর্ঘদিন তারা কমিটিতে সমন্বয় করে বিদ্যালয় পরিচালনা ও নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছে।যখন আমরা ভোট করছি,শিক্ষার্থীর অভিভাবকগণ ভোট দিয়ে সন্তানের বিদ্যালয়ে আসবে ঠিক তখনই নির্বাচন বানচালের পায়তারা চালাচ্ছে। গভর্নিং বডির সচিব প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: আরিফুল ইসলামের বক্তব্য জানতে মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ করে রাখেন।
সিংগারডাবড়ীহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের চলমান কমিটির সদস্য রেজাউল করিম রতনের কাছে নির্বাচন ও শূন্য পদে জনবল নিয়োগের প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়েছে কি না প্রশ্নোত্তরের বলেন,আদালতের আদেশে ৭জুলাই ভোট হচ্ছেনা, আমরা কমিটির লোকজন লিখিতভাবে নিয়োগ বন্ধ রাখছি।আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত আমাদের কমিটির মেয়াদ আছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রব বলেন আদালতের নিষেধাজ্ঞা বিষয় আমার জানা নেই।গভর্নিং বডির নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো: শাহ আলম সরকার বলেন আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আগামীকাল নির্বাচন হচ্ছেনা।
অভিযোগে মনোনয়ন ও মৃত ব্যক্তি ভোটার তালিকায় থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিষয় বলে জানান।