উলিপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, ২ মেয়েসহ বিধবা নারীকে মারধর-লুটপাটের অভিযোগ

আঞ্চলিক সংবাদদাতা, কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামে বসতঘরের তালা ভেঙে স্বর্ণালংকার, শিক্ষা সনদপত্রসহ মূল্যবান জিনিপত্র লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের কৃষ্ণমঙ্গল এলাকার। গত রবিবার এ ঘটনা ঘটলে ভুক্তভোগী ইশরাত জাহান স্মৃতি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে পরিবারটি আইনি কোনো সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেন তারা।
জানা গেছে, ওই গ্রামের রশিদুল হায়দারের সঙ্গে তার আপন ভাই শফিকুল হায়দার, শামীম হায়দার, লুৎফুল হায়দারের ৪২ শতক পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ২০২১ সালের ৩০ জুন বড় ভাই রশিদুল হায়দার মারা গেলে অন্য ভাইয়েরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এরই জের ধরে গত ৬ সেপ্টেম্বর রশিদুলের স্ত্রী
মোকছেদা খাতুন, মেয়ে ইশরাত জাহান ও সুমাইয়া পারভীনকে মারধর করে বের করে দেয় শফিকুল হায়দারসহ অন্য ভাইয়েরা। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে দুই মেয়েকে নিয়ে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন মোকছেদা। এর মধ্যে কয়েকবার বাড়িতে ওঠার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন ভুক্তভোগীরা। পরে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বাড়িতে গিয়ে দেখেন ঘরের তালা ভেঙে আলমারিতে থাকা স্বর্ণের বালা, গালার চেন, কানের দুল, আংটি ও ব্রেসলেট যার মূল্য প্রায় ছয় লাখ টাকা এবং জমির দলিলসহ তার ছেলে-মেয়ের শিক্ষা সনদসহ মূল্যমান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মোকছেদা বেগমের বড় মেয়ে ইশরাত জাহান বাদী হয়ে নয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
ইশরাত জাহান জানান, আমরা তিনভাই বোন। ছোট ভাই ঢাকায় চাকরি করে। বাবা মারা যাওয়ার পর চাচারা আমাদেরকে বাবার সম্পতি থেকে বঞ্চিত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এর আগেও তারা আমার মাকে মারধর করেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শফিকুল হায়দার বলেন, আমার ভাই রফিকুল হায়দারের সঙ্গে ভাতিজি ইশরাত জাহানের বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হলে তাকে একটি থাপ্পর দেন। এ ছাড়া লুটপাটের ঘটনা সব মিথ্যা।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বক্কর সিদ্দিক অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।