রাজারহাটে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টারমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, সহ¯্রাধিক পরিবার পানিবন্দী
প্রহলাদ মন্ডল সৈকত:
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর পানি হু হু বাড়তে শুরু করেছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় তিস্তার চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফলে চরের সহ¯্রাধিক বাড়িঘর পানিবন্দী হয়ে রয়েছেন। এছাড়া ওই সব এলাকায় ধান, বাদাম ও মরিচ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী ভাঙন ও ফসল নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে তিস্তার পাড়ের মানুষজন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের রোববার(২৯সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টার তথ্যমতে, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রোববার(২৯সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার মধ্যে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করবে বলে পাউবো জানিয়েছে।
এদিকে পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে তিস্তার তীরবর্তী রাজারহাট উপজেলার চর বিদ্যানন্দ, খিতাব খাঁ, চর গতিয়াসাম, চর তৈয়বখাঁ, মাঝের চরের নিম্নাঞ্চলের সহ¯্রাধিক পরিবারের বসতভিটা এবং কয়েকশ হেক্টর ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, খিতাব খাঁ মাঝের চরের প্রায় ৫শতাধিক পরিবার পানিবন্ধী হয়েছে। পানিবন্ধী পরিবারদের জন্য ১কেজি মুড়ি, আধা কেজি চিড়া, খাবার স্যালাইন, মোমবাতি, দিয়াশলাই ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরন করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম।
রাজারহাট উপজেলার খিতাব খাঁ গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, আমার তিন বিঘা জমিতে আধা পাকা ধান ক্ষেতে হঠাৎ তলিয়ে গেছে। কিছু ধান কাটতে পারলেও অবশিষ্ট সব পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আমার খুব ক্ষতি হয়ে গেল।
অপর এক কৃষক নুর ইসলাম বলেন, আমার শাক সবজি, ও বাদাম ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। হঠাৎ করে এমন পানি হবে চিন্তাও করতে পারি নাই।
উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হৈমন্তি রানী বলেন,রোববার সকালের তথ্যমতে চরাঞ্চলে ৪০হেক্টর জমির ধান, বাদাম, মরিচ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে আরও কয়েক শত হেক্টর ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা বেগম বলেন, এ উপজেলায় বন্যা হতে পারে তাই আগাম প্রস্তুতি গ্রহন করে চরাঞ্চলের মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে ও আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া পানিবন্দীদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরন করা হচ্ছে।